দুই বছর আগে সিরিয়ায় নিখোঁজ হওয়া এক মার্কিন সাংবাদিকের ‘শিরশ্ছেদ করে’ তার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসলামিক স্টেট ।
তারা বলছে, ইরাকে ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতেই জেমস ফোলে নামের ওই সাংবাদিকের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ‘এ মেসেজ টু আমেরিকা’ শিরোনামের ওই ভিডিওটি মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগের একটি ওয়েবসাইটে আসে। তবে ভিডিওটি সঠিক কি না তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একইসঙ্গে আরেক মার্কিন সাংবাদিকের ছবি প্রকাশ করে আইএস বলেছে, তার জীবন এখন নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের ওপর।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জেমস ফোলে গত পাঁচ বছর ধরে ফ্রান্সের বার্তা সংস্থা এএফপি ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পোস্টের হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশে সংবাদ সংগ্রহ করে আসছিলেন।
৩৯ বছর বয়সী এই সাংবাদিকের মা ডায়ানে এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছেন, তার ছেলেকে নিয়ে তিনি গর্বিত।
“সিরিয়ার মানুষের দুর্দশার চিত্র বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে গিয়ে জীবন দিয়েছে সে।”
২০১২ সালের ২২ নভেম্বর সিরিয়ায় দায়িত্ব পালনকালে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীদের হাতে অপহৃত হন ফোলে।
ইসলামিক স্টেটের প্রকাশ করা ভিডিওর শেষ অংশে স্টিভেন সতলফ নামের আরেক সাংবাদিককে দেখানো হয় যিনি গত বছর জুলাইয়ে সিরিয়ার উত্তর অংশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন।
ভিডিওতে যাকে জেমস ফোলে হিসাবে দেখানো হয়েছে তাকে কমলা রংয়ের বন্দিদের পোশাকে এক মরু এলাকায় হাঁটু গেড়ে বসা অবস্থায় দেখা যায়। তার পাশেই কালো পোশাকে মুখ ঢাকা এক জঙ্গির হাতে দেখা যায় একটি ছুরি।
অস্ত্রধারী নিজেকে আইএস সদস্য হিসাবে পরিচয় দেন এবং তার উচ্চারণে ব্রিটিশ টান ছিল বলে বিবিসির খবরে জানানো হয়।
হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে ওই ভিডিও দেখেছেন এবং বিষয়টি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে জানানো হয়েছে।
ভিডিওটি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।