এক সাগর রক্ত, লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগ, বহু মা -বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ডাব-বাগানে (বর্তমান শহীদ নগর) পাকি¯তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধে ১৯ জন ই.পি.আর সদস্য যাদের মধ্যে একজন হাবিলদার, দুজন নায়েক,দুজন ল্যান্স নায়েক, বার জন সিপাহী এব! দুইজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্যে শাহাদৎ বরন করেন। তাদের আত্মত্যাগকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়, যার নামকরন করা হয় ”বীর বাঙ্গালী”। সাঁথিয়ার কৃতিসন্তান চারু-কলার শিক্ষক ভাষ্কর মোঃ জুলফিকার আলী জুলি ২০০০ সালে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রি অধ্যাপক আবুসাইদের সহযোগিতায় ছয় মাসের পরিশ্রমে এটি নির্মান করেন।
এই ভাষ্কর্যের প্রতিকৃতি আমাদের যে বার্তা বহন করে, তা নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উ™বুদ্ধ করবে। ”বীর বাঙ্গালী” ভাষ্কর্যে ৯টি পিলারে দুটি করে ছিদ্র আছে। প্রতিটি ছিদ্রোয় একটি করে তারা বসানো আছে। একটি তারা দ্বারা একজন শহীদকে বুঝানো হয়েছে।
বেদীর উপর বীর বাঙ্গালীর হাতে রাইফেল ও অন্য হাতে থাকবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং তিনি বাকি আঠার জনের নেত্রীত্ব দেবেন। আর এটাকে বহনকারী পাথরটি হবে কালো টাইল্্সের , যেটা দ্বারা শোককে বুঝাবে।
নির্মান পরিকল্পনায়, তারা গুলোর সঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রজ্জ্বোলিত করা হবে, রাতে তারা গুলো জ্বলবে,এবং শহীদদের প্রেরনায় বাঙ্গালী জাতী সংকটময় মুহুর্তে জ্বলে উঠতে অনুপ্রানীত হবে।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে , মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, ”বীর বাঙ্গালী” ভাষ্কর্যের পাশে একটি পাঠাগার ও একটি মুক্তযুদ্ধ জাদুঘর নির্মানের প্রতিশ্রæতি দেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডঃ শামসুল হক টুকু এম,পি। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাডঃ আজমত উল্লাহ খান, সভাপতি,গাজিপুর মহানগর আওয়ামি লীগ; বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃআব্দুল কাদের উপজেলা চেয়ারম্যান বেড়া; জাহাঙ্গীর কবির রানা রাকসুর সাবেক সাধারন সম্পাদক; মিরাজুল ইসলাম প্রামানিক মেয়র, সাঁথিয়া পৌরসভা এবং কাশিনাথপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মীর মন্জুর এলাহী।