জানা গেছে, মঙ্গলবারই এ বিষয়ে বিহার রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপার ও জিআরপি-র এসপিদের সার্কুলার পাঠানো হয়েছে। সিআইডি ইনসপেক্টর জেনারেল অরবিন্দ পান্ডে বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে যাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে পুলিশ, তা নিশ্চিৎ করতে হবে। পান্ডে আরও বলেছেন, কোনও মেয়েকে বারবার মিসড কল দেওয়া একটা গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ বলে গণ্য করা হতে পারে। এতে ওই নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন, আতঙ্কিত হতে পারেন, তাঁর মনের শান্তি, স্বস্তি উধাও হতে পারে। আমরা তাই বারবার মেয়েদের মিসড কল দেওয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ডি (১) ও (২) ধারায় পিছু নেওয়া, নজরদারি চালানোর মতো অপরাধ বলে গণ্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
কিন্তু একান্ত প্রয়োজনে, ব্যালেন্স না থাকলে বা না দেখে ভুলবশত যদি কোনও মেয়েকে মিসড কল দিয়ে ফেলেন, সেক্ষেত্রে কী হবে? পাণ্ডে বলেছেন, দু-একবার মিসড কল দেওয়া হলে সেটাকে উপেক্ষা করতেই বলা হয়েছে পুলিশ কর্মকর্তাদের। কিন্তু একই ঘটনা যদি বারবার ঘটে এবং কোনও মেয়েকে হয়রানি করার উদ্দেশ্য নিয়েই মিসড কল দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু কঠোর হতে হবে পুলিশকে।
প্রসঙ্গত দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণকাণ্ডে শোরগোল হওয়ার পরই ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৩৫৪বি (২) ধারাটি সংযোজিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কোনও নারী পুলিশের কাছে অবাঞ্চিত মিসড কলের ব্যাপারে অভিযোগ জানালে ফৌজদারি মামলা দায়ের হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য দুটি বিষয় জরুরি। প্রথমত, মিসড কল দেওয়া ব্যক্তিটিকে পুরুষ হতে হবে, দ্বিতীয়ত, মিসড কলের পিছনে কু-মতলব আছে, এটা স্পষ্ট হতে হবে।
পান্ডে বলেছেন, অচেনা পুরুষের কাছ থেকে মিসড কল পেয়ে বিব্রত হলেও আইনি সুরাহার রাস্তা যে সামনে রয়েছে, এটা মহিলাদের জানা উচিত। তাদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। পুলিশ তাদের সবরকমভাবে সাহায্য করবে
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর