এলাকাবাসীর দাবি, জেলার প্রাচীনতম ময়মনসিংহ-গফরগাঁও টোক (খান বাহাদুর ইসমাইল রোড) সড়কটি ময়মনসিংহ জেলার ময়মনসিংহ সদর, ত্রিশাল, গফরগাঁও, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল উপজেলা বাসীর অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ এবং কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার সাথে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে এই সড়ককে সংযুক্ত করে ব্রক্ষপুত্র নদের উপরে খুরশীদমহল, গফরগাঁও, বালিপাড়ায় তিনটি ব্রীজ র্নিমাণ করা হয়েছে। এতদঞ্চলে ব্রক্ষপুত্র অববাহিকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিশেষ করে শাক-সবজি তরিতরকারী বিভিন্ন জেলা শহরে ও রাজধানীতে পরিবহন করা হয় এই সড়কের উপর দিয়ে।
এছাড়া ও ব্রক্ষপুত্র নদে উত্তোালিত বালু ঢাকা, গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থাপনার জন্য এই সড়ক পথই সরবরাহ করা হয়। যার মাধ্যমে ইজারা বাবদ প্রতি বছর সরকারের কয়েক কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। অথচ এই সড়কটিতে দীর্ঘ সময় যাবৎ তেমন কোন সংস্কার কাজ হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে টুকটাক যা কাজ হয় তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচলের ফলে কয়েক দিনেই রাস্তা আবার ও পুরানো অবস্থাতেই পর্যবসিত হয়। এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ব্রক্ষপুত্র নদে নির্মিত তিনটি ব্রীজ নিমার্ণ করে ও কোন কাজে লাগছে না।
এমতাবস্থায় সড়কটির মান আঞ্চলিক মহাসড়কে উনন্নতী করে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা আবশ্যক বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনরা।
এই বিশাল জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ ব্যবস্থার দূর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সুশীলসমাজ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে স্মারক লিপি প্রদান এবং মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা জাসদ সিনিয়ার সহ-সভাপতি রতন সরকার, ৩নং কাঠাল ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. আসলাম উদ্দিন, বীরমুক্তি যোদ্ধা মজিবুর রহমান, ডা. ফারুক, ৩নং কাঠাল ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি মিজানুর রহমান হেলাল (দেওয়ান), ৩নং কাঠাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রতন, ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি নাজমুল হুদা, ৯নং ইউ পি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রাসেদুল ইসলাম(ছোট), ডাঃ রুহুল আমীন, সৈয়দ আব্দুল হান্নানপ্রমুখ।