রং আর ঝুটিতে ময়ূরগুলো দেখতে ময়ূরীর চেয়ে বেশি সুন্দর। ময়ূর নিজের সৌন্দর্যকে ব্যবহার করে ময়ূরীর দৃষ্টি আকর্ষন করে। অবাক বিষয় হলো পেখম থাকে শুধু ময়ূরের; ময়ূরীর থাকে না। আবার আকারের দিক দিয়ে ময়ূর ময়ূরীর চেয়ে বড় এবং রঙ তুলনা মূলক ভাবে বেশ উজ্জ্বল। আর এই অতিরিক্ত সৌন্দর্যকে ব্যবহার করেই ময়ূর পেখম তুলে ময়ূরীকে আকৃষ্ট করে।
ময়ূর ফ্যাজিয়ানিডি প্রজাতির সুন্দর একটি প্রাণি। এশিয়ান অঞ্চলে সাধারনত দ্ইু ধরনের ময়ূরের দেখা পওয়া যায়। এদের রং হয় নীল ও সবুজ। মাঝে মাঝে সাদা রং এর ময়ূরের দেখাও মেলে। এরা সাধারনত বনের ভেতর মাটিতে বাসা বাধে। তবে মাঝে মাঝে বনের পাশের লোকালয়েও এদের দেখা মেলে। ময়ূর সর্বভুক প্রাণি। এরা সাধারনত চারা গাছের অংশ, কীটপতঙ্গ, বীজের খোসা, ফুলের পাপড়ি এবং ছোট ছোট সন্ধিপদ প্রাণী খায়। এরা ডিম পাড়ে ও ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। এদের বাচ্চাগুলো মুরগির বাচ্চার মতই মায়ের সাথে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। বাচ্চা গুলো বিপদ দেখলেই মায়ের ডানার নিচে এসে লুকায়। ময়ূরের ছোট বাচ্চারা মুরগির বাচ্চার মতই বেড়ে উঠে।
আকারের দিক দিয়ে ময়ূর ৭ ফুট লম্বা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর পেখমের দৈর্ঘ্য তিন ফুট হয়। এদের পেখমে রয়েছে নীল, সবুজ, সোনালিসহ বাহারী রঙের সমাহার। অনেকেই ময়ূরের পেখমের পালক ঘরে সৌন্দর্য হিসাবে ব্যবহার করে।
এশিয়ার বৃহৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ৯৬টি ময়ূর দক্ষিণআফ্রিকা ও ভারত থেকে আনা হয়। এ পর্যন্ত পার্কে জন্ম নেওয়া ময়ূরের সংখ্য ১২টি।
সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) ও সাফারি পার্কের তত্ত¡াবধায়ক শাহাবুদ্দিন জানান, অত্যান্ত সচেতনতার সাথে এদের পরিচর্যা করা হয়। প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি এদের বিশেষ যতœ নেওয়ায় দ্রুত বংশ বৃদ্ধি ঘটছে ময়ূরের। বর্ষাকালে পার্কের ময়ূর বেষ্টনিতে দর্শনার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভীর করছেন।