তারাগঞ্জ সংবাদদাতা, রংপুর : রংপুরের তারাগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে লিটন (২৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত সাতজন। বুধবার দুপুরে উপজেলার রহিমাপুর হাজীপাড়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন পার্শ্ববর্তী হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের জলুবর গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছোরা, বলবসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর হাজীপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে আনিছুলের (৪০) সঙ্গে একই গ্রামের কাশেমের ছেলে জালালের (৪২) মধ্যে ১৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার দুপুরে আনিছুল ঐ জমিতে ট্রাক্টর নিয়ে চাষ করতে যায়। এ সময় জালাল তাকে বাধা দিলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে তাদের উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের আটজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহত আটজনেরই অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে লিটন মারা যান। অন্যরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যান্য আহতরা হলেন, সম্রাট (১৯), হাছিনুর (২১), ওয়াছকুনী (২৫), ইউনুস (৩০), জুয়েল (৩০), গোলাম রব্বানী (৪২) ও একজন অজ্ঞাতনামা (২৫)।
তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তাপস সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি, মামলার প্রস্তুতি চলছে।
খবর পেয়ে বিকেল ৪টায় তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মওলা, থানা অফিসার ইনচার্জ তাপস সরকার, কুর্শা ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম মার্শাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।