রংপুর প্রতিনিধি: রংপুরে জোড়া খুন ও ডাকাতির মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল বাসার, চান্দু মৃধা ও সোবহান সিকদার এবং পলাতক মানিক, ওয়াহিদুল হক, নজরুল ইসলাম, বাবুল হোসেন, শাহিন হোসেন, আবুল বাসার, বশির, শহীদুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৮ মার্চ দিনাজপুরের রুহিয়া থেকে দুইশ বস্তা চাল নিয়ে একটি ট্রাক সিরাজগঞ্জে আসার সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বারাতি এলাকায় পৌঁছে। এসময় একদল ডাকাত একটি খালি ট্রাক নিয়ে চালবোঝাই ট্রাকটিতে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ট্রাকটি থেমে যায়। এ সময় খালি ট্রাকে থাকা ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে চালবোঝাই ট্রাকের ড্রাইভার পরেশ চন্দ্র, হেলপার সন্তোষ কুমার ও চালের মালিক হারান চন্দ্রকে হাত-পা বেঁধে খালি ট্রাকে তুলে দ্রুত রংপুরের বদরগঞ্জ সড়কে নিয়ে যাবার সময় হাসনানগর এলাকায় ড্রাইভার হেলপার ও চালের মালিককে চলন্ত ট্রাক ফেলে দিয়ে খালি ট্রাক পালিয়ে যেতে যায়। এ সময় ওই সড়কে একটি ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ভ্যানচালক মনোরঞ্জন নিহত হয়।
এদিকে ট্রাক থেকে ফেলে দেয়া ড্রাইভার হেলপারসহ ৩ জনকে স্থানীয়রা বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক ড্রাইভার পরেশ চন্দ্রকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
সরকার পক্ষের পিপি অ্যাডভোকেট পলাশ বলেন, এ ঘটনায় তারাগঞ্জ থানায় চাল বোঝাই ট্রাকের হেলপার সন্তোষ কুমার ও চালের মালিক হারান চন্দ্র দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। দুই মামলায় ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বৃহস্পতিবার বিচারক ১০ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
অন্যদিকে ড্রাইভার পরেশসহ ২ জনকে হত্যার দায়ে ১০ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার আদেশ দেন।