জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগেই কৃষকরা মশুর ডাল চাষ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল কিন্ত উন্নত জাতের মশুর ডাল এর বীজ হাতের নাগালে পাওয়ার কারনে এই ফসল চাষাবাদে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় বিগত দুই এক বছর আগে থেকে আবারও এই চরাঞ্চলের মধ্যে কৃষকরা কম বেশী মশুর ডাল আবাদ শুরু করেছে এতে তাদের ফলন ও ভাল হয়েছে ।
মশুর ডাল এর আবাদ খরচের দিক থেকে অনেক সাশ্রয়ী হওয়ায় পীরগাছা উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অদিদপ্তর ব্যয়বহুল ফসল চাষাবাদ কমিয়ে মশুর ডালসহ বিভিন্ন জাতের উফশি ফসল চাষাবাদের উপর জোর দেওয়ার জন্য বিগত কয়েক বছর যাবৎ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আসছেন । যথারিতী কৃষি বিভাগ এর সুফল পেয়েছে । উপজেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, বিগত বছর গুলোর চেয়ে এবছর চলতি মৌসুমে মশুর ডাল চাষ লক্ষ্যমাএা অতিক্রম করেছে ২৫ হেক্টর । পীরগাছা উপজেলার পশ্চিমদেবু মাল্লি পাড়া ও রহমত এর চর ,শিবদেব চর,আষষ্ঠিপাড়া, বামন পাড়া,কিশামত শুকান পুকুর গ্রামের মশুর ডাল চাষি ওয়াহেদুর জাম্মান,জব্বার আলী,আলমগীর হোসেন,নজরুল ইসলাম বাবু,
আবু তৈয়ব আলী,মোছাঃ রতœা আক্তার,আব্দুর রহিম মিয়া,একরামুল হক,জানায় অন্য ফসল আবাদের চেয়ে মশুর ডাল আবাদের খরচ অনেক কম কারন শুধুমাত্র সেচ আর সার প্রয়োগেই মশুর ডাল আবাদ ভাল হয় । এছাড়াও নিরানি ও কীটনাশক তেমন একটা প্রয়োজন হয় না । এবছর তারা তাদের আবাদকৃত জমিতে মশুর ডালের ভাল ফলন আশা করছেন । এদিকে উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা রেহানা আলম বলেন প্রর্দশনী প্লটের জমির পরিমান ৩০ শতাংশ । মশুর ডাল এর জীবন কাল থেকে শুরু করে ১১০ দিনে মশুর ডাল চাষ আবাদ করে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । পীরগাছা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আফতাব হোসেন জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর মশুর ডাল আবাদ ২০% বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে । এতে করে দেশের মশুর ডাল এর চাহিদা অনেকটা পুরন হবে । তাছারা কৃষকরা অন্য আবাদ এর চেয়ে কম সময়ে আর্থিক ভাবে বেশি লাভবান হবে