উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা নিরসনে গত মঙ্গলবার রাতে এলাকাবাসী অনশনরত শিক্ষকদের আন্দোলন বন্ধ করার আহ্বান জানান। এ নিয়ে শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে কয়েকজন অনশন মঞ্চ ভেঙ্গে দেন এবং কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রংপুর-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানায়।
পুলিশের দাবি, এ সময় শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের দায়ে করা মামলা প্রত্যাহার এবং শিক্ষক লাঞ্ছনাকারী ও মঞ্চ ভাংচুরকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এনিয়ে উত্তেজনার কারণে ক্যাম্পাসে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম মামলা করার কথা নিশ্চিত করেছেন।