যশোর বাসিন্দা মুফতি রিজওয়ান রফিকী ওরফে রফিক মুন্সিকে ওয়াজের সময় মঞ্চ থেকে তাড়ালো শ্রোতারা। স্রোতা ও মসজিদ কমিটির নিষেধ না মেনে অন্যের গীবতমূলক ওয়াজ করায় তাকে মঞ্চ ছেড়ে পলায়ন করতে হয় বলে একাধিক ফেসবুক স্ট্যাটাস ও ছবি সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে রীতিমত হইচই পড়ে গেছে। তার বিপক্ষে ও পক্ষে অনেককেই মন্তব্য করতে দেখা গেছে।
স্ট্যাটাসটি নিম্নে দেওয়া হলো-
গীবত ছাড়া বয়ান জানেনা যে বক্তা,,,,
বক্তা মঞ্চে উঠিল,গীবত শুরু করিল জনগন অপমান করিয়া খেদাইয়া দিল।
ওয়াজ মাহফিলে বয়ান করা এখন আয় রোজগারের একটা ভালো মাধ্যম। তাই অনেকেই এই মার্কেটটা ধরতে চায়। কিন্তু সবাই তো কুরআন হাদিসের ভালো জ্ঞান রাখে না। যাদের কুরআন হাদিসের জ্ঞান কম, কিন্তু ওয়াজ করে টাকা ইনকাম করতে খুব মন চায়, তারা যে সহজ উপায়টা অবলম্বন করে তাহলো- কোনো সুপরিচিত ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য, হুমকি-ধামকি ইত্যাদি দিয়ে “বাতিলের আতঙ্ক” বনে যাওয়া। যেসব বক্তাকে দেখবেন ওয়াজ মাহফিলে কুরআন-হাদিসের আলোচনা নেই, কেবল একচেটিয়াভাবে অন্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছে, বুঝবেন তার ঘটে বিদ্যা-বুদ্ধি বলতে কিছুই নেই, ওয়াজের মার্কেট তৈরি করতে অন্যের বিরুদ্ধে গলাবাজি করাই তার একমাত্র প্রতিভা। গাজীপুরের জনৈক রফিক মুন্সি এমনই এক বক্তা।
বর্তমানে হেযবুত তওহীদ বাংলাদেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রভাবশালী আন্দোলন এবং এই আন্দোলনের এমাম সর্বমহলে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব। কাজেই এই রফিক মুন্সী মনে করলেন এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে গলা ফাটাইয়া ওয়াজ করলে সারা দেশে পরিচিতি লাভ হবে সহজে এবং ওয়াজের মাঠ চাঙ্গা হবে। গতকাল তার নিজ জেলা যশোরে একটা ওয়াজ মাহফিলে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে যথারীতি ওয়াজ শুরু করলেন তিনি। মনে করেছিলেন গলাবাজি করেই আজকে যশোর কাঁপিয়ে ফেলবেন। কিন্তু হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা শুরু করতেই বিধি বাম! স্থানীয় জনগণ এবং ওয়াজ কমিটির তোপের মুখে পড়লেন তিনি। তাকে বলা হইল অন্যের গীবত বাদ দিয়ে কুরআন হাদিসের আলোচনা করেন। কিন্তু কুকুরের লেজ ১০ মণ ঘি দিলেও যে বাঁকা সে বাঁকাই থেকে যায়। জনতার প্রতিবাদ ও মাহফিল কমিটির নিষেধ সত্ত্বেও রফিক মুন্সী শুনল না, চিৎকার করেই চলল। শেষমেশ পুলিশ বাবারা ডান্ডা নিয়া আসলে কলিকাতার কদুর তেলের মতো ঠাণ্ডা হইয়া বিড়ালের মতো লেজ গুটাইয়া সটকে পড়ে।
কথায় বলে চোরের দশদিন গেরস্তের একদিন ……