র্যাবের উপ-পরিচালক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কিলোমিটারের মধ্যে পুরনো এমপি হোস্টেলের পেছনে রুবি ভিলা নামের ছয় তলা ওই ভবন র্যাব সদস্যরা ঘিরে ফেলেন। শুক্রবার ভোরের দিকে সেখানে গোলাগুলি হয়।
ওই ভবনের পঁচ তলার ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেডও ছোড়া হয় বলে জানান তিনি।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান সকালে ঘটনাস্থলের কাছে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, যে এরকম জায়গায় জঙ্গিরা অবস্থান করছে, কোনো নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এর ভিত্তিতে ছয় তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে কিছু গোলাগুলি হয়, কিছু গ্রেনেডও নিক্ষেপ হয়।”
মুফতি মাহমুদ বলেন, “ভেতরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, আমরা দেখেছি। নিহত হয়েছে কয়েকজন। কিন্তু যেহেতু কয়েকটা আইডির মত পড়ে আছে, সেহেতু বিশেষায়িত দল আসার আগে সেখানে ঢোকা নিরাপদ হবে না।”
ওই ভবনের অন্যান্য ফ্লোরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার দিকে র্যাব সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
তার ব্রিফ্রিংয়ের কিছুক্ষণ পর র্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল সেখানে পৌঁছে কাজ শুরু করে।
তবে ভেতরে কয়জন জঙ্গি অবস্থান করছিল, তাদের পরিচয় কী- সেসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেননি র্যাব কর্মকর্তারা।