রাজবাড়ীর ফুরসাহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংবাদ প্রকাশের পূর্বেই ব্যবস্থা

রিয়াজুল করিম ঃ জেলা সদরের বরাট ইউনিয়নের কাশিমনগর দেলন্দী এলাকার ফুরসাহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৯ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছে মাত্র ১ জন শিক্ষিকা ও ১জন অস্থায়ী শিক্ষক পাঠদান চালাচ্ছে। এ সংবাদটি সংগ্রহ করে গনমাধ্যমে প্রকাশের আগেই আজ আরেকজন শিক্ষককে অস্থায়ী ভাবে পাঠদানের জন্য পাঠানো হয়েছে বিদ্যালয়টিতে।
জেলা সদেরর বরাট ইউনিয়নের পদ্মা নদীর কোল ঘেসা প্রত্তান্ত অঞ্চলে স্কুলটি অবস্থিত । ১৯৭২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও রেজিষ্ট্রেশন হয় ১৯৭৯ সালে এবং জাতীয়করণ হয় ২০১৩ সালে।
গত শনিবার সংবাদ সংগ্রহে গেলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কোন মাধ্যমে জানতে পেরে আজ সোমবার অন্য একটি স্কুল থেকে একজন শিক্ষককে ফুরসাহাট স্কুলে পাঠায়।
এ নিয়ে বিদ্যালয়টিতে বর্তমান ১ জন শিক্ষিকা তিনি হলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন। আর অন্য স্কুল থেকে এনে অস্থায়ীভাবে পাঠদান দিচ্ছে ২ জন শিক্ষক।
ফুরসাহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেমা খাতুন এর সাথে আজ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান গত শনিবার আপনারা সংবাদ সংগ্রহ করে চলে যাবার পর গতকাল রবিারর আরেকজন ডেপুটিশন শিক্ষক পেয়েছি।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছরিন আক্তার জানান, সদর উপজেলায় ১৩৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এতে অনুমোদিত পদ আছে ৭শত ৮৫, শূন্য পদ আছে ১শত ২টি। এটি সদ্য জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় তাতে অনুমোদিত পদ আছে ৪টি। স্কুলের ১জন শিক্ষক এলপিআরে গেলে আমরা মন্ত্রানালয়ে জানিয়েছি। কোন চিঠি না আসাতে মৌখিক অনুমতির মাধ্যমে দুইজন শিক্ষক ওখানে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৩ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম এক প্রশ্নের জবাবে মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে ডেপুটিশনে ২ জন শিক্ষক আছে। পূর্বে ১ জন ছিল আর আজকে যোগদান করেছে ১ জন। মোট ৩ জন শিক্ষক আছেন স্কুলটিতে।

Comments (0)
Add Comment