রিয়াজুল করিম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: নারী পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে রাজবাড়ী দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে বিক্রি হওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্যে রক্ষা পেল ময়মনসিংহ জেলার ইশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারাহাটি গ্রামের দরিদ্র মো. রইচ উদ্দিনের ১৪ বছর বয়সী ময়না নামের এক কিশোরী। গোয়ালন্দ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ১৭/০১/১৬ইং তারিখে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
উদ্ধার হওয়া ময়না জানায়, তার সৎমায়ের অত্যাচারে গার্মেন্টেসে চাকরির জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ি ছেরে যায়। ময়মনসিংহ বাস ষ্ট্যন্ডে আসলে প্রতারক রায়হান ও রানার সাথে তার পরিচয় হওয়ার পড়ে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তারা গার্মেন্টেসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে তাদের ইক আত্মীয়ের বাসায় আমাকে ২ দিন রাখে। গত বুধবারের দিন গার্মেন্টেসের কথা বলে এখানে (দৌলতদিয়া) নিয়ে আসে।
এ সময় হয়তবা বিপদ আঁচ করতে পেরে ওই ২ প্রতারক যুবক পালিয়ে য়ায়, এ সময় অসহায় ময়নার কান্না-কাটি দেখে স্থানীয় এনামুল হক নামে এক ব্যাক্তি ময়নাকে তার বাড়িতে নিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। থানা পুলিশ খোঁজ করে তার বাড়ির পরিবার কে ষিয়টি জানায়। পরবর্তিতে আসলে তার হেফাজতে ময়নাকে দিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের সর্ব বৃহত দৌলতদিয়া পতিতালয়ে বর্তমানে প্রায় আড়ই হাজার (২,৫০০) যৌন কর্মী রয়েছে, তার মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়সী দের শতাধিক শিশু-কিশোরি। গড়ে প্রতি মাসে অনন্ত ১৫ জন করে নতুন নতুন কিশোরিকে এনে যৌন পেশায় বাধ্য করানো হচ্ছে। আইনের চোখে ধুলো দিয়ে শিশু-কিশোরকে যৌন পেশায় লিপ্ত করে স্থানীয় লোকের মদদে অধিকাংশ বাড়িওয়ালি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
বিভিন্ন সময় উদ্ধার হওয়াদের সাথে কথা বলে জানাযায়, ভাল চাকরি, গমের্ন্টেসে চাকরি ও প্রেমের ফাদে জড়িয়ে এখানে এনে বিক্রি করে দেয়। নতুন মেয়েদের পহাড়াদারদের দিয়ে পাহাড়ায় রাখা হয় যেন কেউ পালাতে না পারে। যৌনপল্লির পাহাড়াদরদের সর্দার লালমিয়া বলে জনাযায়।
পুলিশ সুপার জানায়, গত ১ বছরে ৩৮ টি মেয়ে উদ্ধার, অর্ধ শতাধিক মামলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কয়েক জন বাড়িওয়ালী ও দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানকার সকল প্রকার অপরাধমূলক কাজ নিয়ন্ত্রন ও জোড় পূর্বক যৌন পেশায় লিপ্ত করা বন্ধে পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।