রূপগঞ্জে এক স্ত্রীকে দুই স্বামীর টানাটানি, বিপাকে পুলিশ

রূপগঞ্জ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারভিন আক্তার নামে এক স্ত্রীকে নিয়ে তার দুই স্বামী টানাটানি করেছে বলে জানা গেছে। দুই স্বামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ওই স্ত্রীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে ঘটে এ ঘটনা। পারভিন আক্তার ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার হাপালিয়া এলাকার জনাব আলীর মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা সূত্র জানায়, গত ৫ বছর আগে শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বেতমারী এলাকার জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পারভিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে রুমানা নামে এক সন্তান হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী গাজীপুরের টঙ্গীতে বসবাস করতেন। গত এক মাস আগে প্রথম স্বামী জহিরুল ইসলামকে না জানিয়ে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে পারভিন আক্তার। পরে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার বাগবাড়িয়া বজ্রপাতা এলাকার সদর উকিলের ছেলে শুক্কুর আলীর সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে করেন পারভিন আক্তার। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা এলাকায় বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছেন তারা।
এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে প্রথম স্বামী জহিরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে পারভিন আক্তারকে সন্তানসহ রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা এলাকায় আসতে বলেন। পরে ভুলতা এলাকায় আসলে পারভিন আক্তারসহ সন্তান রুমানাকে নিয়ে ঘরে ফিরে যেতে বলেন জহিরুল ইসলাম। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় স্বামী শুক্কুর আলী এসে পাল্টা তার ঘরে স্ত্রী-সন্তানকে ফিরে যেতে বলেন। এসময় পারভিন আক্তারকে নিয়ে তার দুই স্বামী টানাটানি শুরু করেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাদের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। পরে দুই স্বামীর টানাটানি নিয়ে পুলিশ পড়েন বিপাকে। এসময় পারভিন আক্তার বলেন, আমি আমার সন্তানকে নিয়ে দ্বিতীয় স্বামী শুক্কুর আলীর ঘরে ফিরে যাব এবং প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাব। এরপর ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটনানোর জন্য উভয়কে স্থানীয় কাজী অফিসে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, শিশুটি তার মায়ের কোল ছেড়ে আসতে চায় না। তাই মায়ের কাছেই শিশুটিকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রথম স্বামী ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে তারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে ইচ্ছুক হয়েছেন। তাই কাজী অফিসে পাঠিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

Comments (0)
Add Comment