রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত-অনুপস্থিতি লক্ষনীয়


তপন কুমার রায়, বেরোবি প্রতিনিধি:

অবশেষে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে “এ” ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হল ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় একযোগে ১৬ টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা শুরু হয় । পরীক্ষা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একে এম নূর-উন-নবী বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় “এ” ইউনিটে ১৯৫ টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য ২০ হাজার ২ শত ১৯ জন আবেদন করেছে। পরীক্ষা চলাকালে প্রতিটি সেন্টারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনতে ৩ টি ভ্রাম্যমান আদালত নিযুক্ত ছিল।

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থীর অনুপস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।হল পরিদর্শনে দেখা গেছে “এ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি কক্ষে অনেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এই অনুপস্থিতির হার আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ শতাংশেরও বেশি হতে পারে।  মঙ্গলবারের ভর্তি পরীক্ষায় অধিকাংশরাই রংপুরের নিকটস্থ এলাকা থেকে এসেছে। দেশের অন্য প্রান্ত থেকে পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি অতি নগণ্য। এই অনুপস্থিতির বিশ্লেষণে দেখা দিয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফরম কেনার টাকা উসুল করতে দায় সারা পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

রংপুরের পীরগাছা থেকে আসা শুভ নামের “এ” ইউনিটের একজন পরীক্ষার্থী জানান, তার কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে নতুন বিল্ডিং কক্ষ নং-০৩ তে প্রায় অর্ধেক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। আসন সংখ্যা ৫০ জনের অনুকুলে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল মাত্র ২৫ জন। কারন হিসাবে জানতে চাইলে সে জানায়, বিগত সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিত, সেশন জট ও দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ায় সে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। তার মতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সেশন জট মুক্ত হতে চলছে সেখানে এই বিশ্ববিদ্যালয় দিন দিন সেশন জট যুক্ত হচ্ছে।

এরকম একই ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছে মিঠাপুকুর থানার বৈরাতী নামক স্থান থেকে আসা শিমু ও বগুড়া থেকে পরীক্ষা দিতে আসা বুলবুল নামের ২ শিক্ষার্থী। যারা ইতিমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে রয়েছে।

এ ইউনিটের পরীক্ষার হল পরিদর্শন শেষে অনুপস্থিতির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. একে এম নূর-উন-নবী সাংবাদিকদের বলেন, নানা অস্থিতিশীল কারণে দেরিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় অনেকে বিভিন্ন জায়গায় ভর্তি হয়েছে।যার কারনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা একটু কম। এসময় তিনি নতুন ও বিদ্যমান শিক্ষার্থীদের সেশন জট কমানোর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও বিগত সময়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তা-কর্মচারী,শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অনুপস্থিত, রেজিস্ট্রার পদশূন্য, কর্মকান্ডগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক সার্বিক পরিস্থিতকে স্থবির করে। যার কারনে বেগম রোকেয়া বিশবিদ্যালয় আজ সেশন জট সহ শিক্ষার্থীদের কাছে অবহেলিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে রুপান্তরিত হয়েছে,তবে বর্তমান বিরাজমান স্বাভাবিক অবস্থা বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী ভর্তিইচ্ছুক  পরীক্ষার্থীরা।

Comments (0)
Add Comment