রোগ প্রতিরোধে শশা

রকমারি ডেস্ক:
খাদ্যগুণ বিচারে অনন্য শশা। এতে জলীয় অংশ শতকরা ৯৫ভাগ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে ও শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে। শশায় ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। প্রতি ১০০ গ্রামে আছে মাত্র ১৫ ক্যালরি। এতে কোনো চর্বি বা
কোলেস্টেরল নেই। শশার খোসার গুণও খুব একটা কম নয়। খোসাসহ শশা খেলে কোষ্ঠকাঠিণ্য কমবে এবং অন্ত্র থেকে দেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান বের করে দিয়ে অন্ত্রের ক্যান্সারের মত রোগ থেকে সুরক্ষা দেবে। শশায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এই পটাশিয়ামকে বিশেষজ্ঞরা হৃদযন্ত্রের বন্ধু বলে থাকেন। কারণ এটি রক্তচাপ কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শশায় পানি এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি প্রস্রাব বৃদ্ধি করে ফলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া নিয়মিত শশা খেলে দেহের ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে ফলে কিডনি ও মূত্রথলিতে পাথর হবার সম্ভাবনা হ্রাস পায়। শশায় বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ প্রভৃতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। শরীরে উৎপন্ন হওয়া ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলগুলো থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো। তারুণ্য ধরে রাখতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর জুড়ি নেই। এছাড়াও শশায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে দেহের হাড়গুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় আলঝেইমার ডিজিজ এর মত øায়ু রোগ প্রতিরোধে শশা ভূমিকা রাখে বলে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন। সৌন্দর্য চর্চায়ও শশার রয়েছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চোখের চারপাশের ফোলাভাব,কালো দাগ দুর করে ত্বককে প্রাণবন্ত ও সজীব করে তোলে শশা।

Comments (0)
Add Comment