সিনেটররা বলেন, বার্মা (যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারকে বার্মা বলে) থেকে পালিয়ে আসা ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে সীমান্ত খুলে দিয়ে আপনি মহত্ত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের আশ্রয় এবং নিরাপত্তার জন্য যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিও সমর্থন জানান সিনেটররা।
তারা বলেন, বার্মায় সহিংসতা দূর করা এবং কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য আমরাও দাবি জানাচ্ছি। সিনেটররা রাখাইনে দ্রুত জাতিসংঘ গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রবেশের অনুমতি দিতে বার্মার প্রতি আহবান জানান। এতে সেখানে মানবাধিকার লংঘন এবং লিঙ্গ ভিত্তিক যেসব সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
তারা বলেন, আমরা জানি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু বাংলাদেশ এদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহায়তার জন্যও বাংলাদেশের প্রশংসা করেন সিনেটররা। চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সিনেটর বেঞ্জামিন এল. কার্ডিন, কোরি গার্ডনার, রিচার্ড জে. ডারবিন, মার্কো রুবিও, জ্যঁ শাহীন, জেফ মার্কলি, টিম কেইন, ক্রিস্টোফার এ. কুনস এবং কোরি এ. বুকার।