খাউরিয়র গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য তোতা মিয়া, পল্লী চিকিৎসক সাহাবুদ্দিন, অত্র প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী শফিকুল ইসলাম ও মিন্টু মিয়া জানান, সাবেক সভাপতি দেলওয়ার হোসেনের ভাতিজা পারভেজ আহম্মেদসহ ১৫ থেকে ২০জন একত্রে হয়ে গত শনিবার সকাল ১১টার সময় জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠান শুরুকালে অধ্যক্ষ উপরে বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা করে দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। আমরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসার জন্য নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাই।
রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অধ্যক্ষ মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশ অনুষ্ঠান শুরু কালে সাবেক সভাপতির ভাতিজা পারভেজ আহম্মেদসহ কয়েক সন্ত্রাসি আমার উপরে হামালা করে ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমাকে গুরুত্বর আহত করে।
নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ বলেন, আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে ঘটনা জনমুখে শুনেছি যে, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ সমাবেশ করতে গিয়ে অধ্যক্ষ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আরিফউল্লাহ বলেন, আমার কাছে লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। বিষটি আমি শুনেছি। তিনি বলে, জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট এবিষয়ে অভিযোগ এসেছে বলেও শুনেছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোসলেম উদ্দিন সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসক ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তদন্ত করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।