লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে সালমা আক্তার (১৯) নামে এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার দালালবাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রোববার নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সালমা আক্তার একই উপজেলার চরলামচী গ্রামের মৃত সানাউল্যাহর মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনারা জানায়, গত তিন মাস আগে সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের চর লামচরী গ্রামের মৃত সানাউল্যার মেয়ে সালমা আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের শাহাদউল্যার ছেলে খলিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে খলিল স্ত্রী সালমা আক্তারের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে বাড়ির পরিত্যক্ত একটি ঘরের পাশে সালমা আক্তারের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী খলিল।
পরে সালমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতিতে তাকে ঢাকা নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকায় তার মৃত্যু হয়। আগুনে তার শরীরের ৬৫শতাংশ পুড়ে যায়।
নিহত সালমার ভাই রেদোয়ান হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে সালমার স্বামী খলিল তাদের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করে আসছিল। যৌতুকের টাকা না পেয়েই গায়ে কেরোসিন ঢেলে সালমাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে খলিল।
নিহতের মা পারুল বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুক নিয়ে সালমার সঙ্গে স্বামী খলিলের মনোমালিন্য ছিল। প্রায়ই সালমাকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন করত খলিল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ঘটনার পর থেকে স্বামী খলিল পলাতক রয়েছে। তবে স্বামীর পরিবার পক্ষের দাবি সালমা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানান, যৌতুক বা পারিবারিক কলহে এ হত্যাকান্ড হয়েছে কিনা সে বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর স্বামীসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।