পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রদলের ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন অনুষ্ঠান চলছিলো। এ সময় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর সাথে ছাত্রদল কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাদের ধাওয়া দিয়ে ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধর করে। ঘটনাটি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তাৎক্ষনিক ছড়িয়ে পড়লে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সংর্ঘবদ্ধ হয়ে জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় ছাত্রদল কর্মী মোরশেদ আলম, তারেকুর রহামান হাবিব, মুরাদ, মামুন, দিপু, আবদুল, কাইউম, মোস্তাফিজ, রিমন, নিজাম সহ অন্তত ১২ জন আহত হয়। আহতদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে র্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় শহর এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন অভিযোগ করে বলেন, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গাখা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি গঠন অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ২০টি চেয়ার ভাংচুর করে তারা। হামলায় ছাত্রদের অন্তত ১২ নেতাকর্মীর আহত হয়েছে।
এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জাতীয় সংসদের সফলতার ৩ বছর পূর্ত্তি উপলক্ষে আগামীকাল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে লক্ষীপুরে ছাত্রলীগের আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হবে। ওই অনুষ্ঠানকে বাঞ্চাল করতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিজেরা কার্যালয় ভাঙচুর করে নাটক সাজিয়েছে।
এ ব্যাপারে লক্ষীপুর সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রনে আনা হয়েছে। যে কোন অর্প্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।