সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের তিতারকান্দি গ্রামের ওমান প্রবাসী আলাউদ্দিন রাজুর বাড়িতে বেড়াতে এলে মঙ্গলবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগকর্মী আদনান আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার বাহার মাষ্টারের ছেলে।
এদিকে, খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার, এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।
প্রবাসীর স্ত্রী কাজল রেখা জানায়, বড় বোন মিনোয়ারা বেগমের ছেলে রকি (২৪) ও মেয়ে মাহিনুরকে (৩০) তার বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়লে ওই এলাকার ফাহাদের নেতৃত্বে আদনান, রোকন, পিয়াস ও হৃদয়সহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পুলিশ পরিচয় দিয়ে রাত ১ টার দিকে দরজা ভেঙ্গে তার ঘরে ঢুকে। এসময় তারা আলমীরার তালা ভেঙ্গে নগদ ২৬ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন সেট লুটে নেয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ঘরে ভাংচুর চালানো হয়।
তিনি আরো জানায়, যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তার বোনের ছেলে ও মেয়ে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক তুলে আদনানের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা মুক্তিপন দাবি করে। এপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের ১০ হাজার টাকা দিলে বুধবার সকালে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চরশাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে খোঁজ নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই ইউনিয়নের আ’লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তারা সবাই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী।
জানতে চাইলে জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া বলেন,এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।