শুক্ররার ১১আগস্ট সন্ধ্যা সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা জহিরকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রাতে পুলিশ ওই এলাকা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে।
আহত জহির সৈয়দপুর গ্রামের হাজ্বী খলিল মাস্টারের ৩য় ছেলে ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সদর উপজেলার সৈয়দপুর ‘চতইল্যা’ নামে একটি ইজারা পুকুর নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছে মেহদী হাসান জসিম ও আক্তার হোসেন চৌধুরীর সাথে।
এর বিরোধকে কেন্দ্র করে আক্তারের অনুসারীরা জসিমের ওপর হামলা করে। পরে জসিমের ছোট ভাই জহিরকে হামলাকারি বাবু,সুমন,শাওন, মোতাহার,নজিরও মোবারক এলোপাথাড়ি মাথায় ধরালো ভারি অস্ত্র দিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে স্থানীরা উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহত জহিরের বড় ভাই জসিম বলেন,৫ বছরের জন্য’চতইল্যা’পুকুর সকল অংশীদার থেকে ইজারা নিয়ে মৎস চাষ করে আসছি। বর্তমান ৪ বছর চলে। ইজারার মেদ শেষ না হতে আক্তার ও তার ভাই বাবু জোরপূর্বক পুকুর দখলের পায়তারা করেছে।আমাকে মারধর করলে আমার ছোট ভাই এগিয়ে আসলে তারা তাকেও কুপিয়ে জখম করে।আমি সকল হামলাকারি দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করি।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন,জহিরের মাথায় ধারালো ভারি অস্ত্র আঘাত রয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই করা হয়েছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লোকমান হোসেন বলেন, এ ঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অবহৃত থাকবে।