লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের ১০টি গ্রামে আজ বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। তবে ওই এলাকা গুলিতে ঈদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি ও বির্তক থাকায় ঈদের আনন্দ হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক মুসল্লি ও শিশু কিশোরকে ঈদের নামাজ পড়ে বাড়িতে বসে থাকতে দেখা গেছে। কারো মুখে হাঁসির রেশ মাত্র নেই।
দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে মাওলানা ইসহাকের (র:) অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরে ১০টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে পচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও বাজারের তালিমুন কোরান নুরানী মাদ্রাসা মাঠে ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা নেছার আহমদ। এসব গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক মুসল্লি পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন সময়ে স্ব স্ব ঈদ গাঁ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জানা যায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শারশোই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপা গ্রামসহ ১০টি গ্রামের প্রায় সহস্রাধীক মুসল্লি আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। মাওলানা ইসহাক (রা.) অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ পবিত্র ভূমি মক্কা ও মদিনার সাথে সঙ্গতি রেখে ঈদ সহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে।
এ দিকে ঈদকে সামনে রেখে ঈদগাহ মাঠের পাশে তাবু টাঙ্গিয়ে শিশুদের খেলনাসহ হরেক রকমের সামগ্রী নিয়ে দোকান পেতে বসেছে হকাররা। ঈদের নামাজ শেষে শিশুরা ভিড় জমায় ওইসব দোকানে।
এদিকে আগাম ঈদ উদযাপনকে ঘিরে ওই গ্রামের মানুষের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দেয়। একই গ্রামে পৃথক পৃথক ভাবে সৌদি ও বাংলাদেশের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করে তারা।
রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, আমরা যদি সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ পালন করি তবে সৌদির সাথে মিল রেখেতো নামাজও পড়তে হবে। শুধু ঈদের ক্ষেত্রে দ্বিমত হবে কেন..?
দৈনিক মানবজমিন রামগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি আবু তাহের জানান, মাওলানা ইসহাক (রা.) অনুসারী নেছার আহম্মদ স্থানীয় মসজিদের ঈমাম হওয়ার সুবাধে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আগাম ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানাচ্ছে। এ নিয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ জানান, উপজেলার কিছু কিছু জায়গায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে পবিত্র ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছে এটা তাদের নিজেস্ব বিশ্বাসের বিষয়। এ নিয়ে মানুষের মাঝেও দ্বিমত দেখা যাচ্ছে।