এ ঘটনায় তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অজ্ঞাতনামা একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
সাংবাদিক আওলাদ সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের মৃত নজির আহম্মদের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর থেকে প্রকাশিত (স্থানীয়) দৈনিক লক্ষ্মীপুর কন্ঠ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও জেলা রিপোটার্স ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
সাংবাদিক আওলাদ হোসেন জানান, বুধবার গভীর রাতে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী আমার ঘরের পিছনে ওঁৎ পেতে থাকে। বিভিন্ন কৌশলে আমাকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা চালায়। এ সময় আমার স্ত্রী নাসিমা বেগম জানালা দিয়ে দেখতে পায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে দাড়িয়ে আছে। এক পর্যায়ে পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এঘটনাই রাতেই পুলিশে খবর দিলে বশিকপুর ফাঁড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাৎক্ষনিক এলাকায় অভিযান চালায়।
তিনি আরো জানান, লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলের সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় ধারাবাহিক প্রতিবেদন ও সংবাদ প্রকাশ করায় বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসীরা অজ্ঞাত ফোন নাম্বার থেকে আমাকে প্রানে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় গিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরীভূক্ত করি। যাহার নং-১০৮৯।
এ দিকে সাংবাদিকে হত্যার চেষ্টা ও হুমকিধমকি দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান জানান, সাংবাদিক আওলাদ হোসেনকে হত্যার হুমকির ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরী পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। শীঘ্রই অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।