অসুস্থ্য চিকিৎসকরা হলেন, ডা. ইকবাল হোসেন, ডা. সালাউদ্দিন পাটোয়ারী, ডা. খালেদ, ডা. ওমর ফারুক, ডা. চিন্ময় সাহা, ডা. বনি আদম, ডা. ইকবাল হোসেন এবং সেবিকা চিনু ও ডা. নারগিজের সহকারী, ডা, কমলা শিষ রায়ের ছেলেসহ ১৮জন।
আয়া পারুল বেগম জানান, ওই সেমিনার থেকে পাওয়া একটি বিরিয়ানীর প্যাকেট একজন ডাক্তার আয়া পারুল বেগমকে দেয়। পারুল বিরিয়ানীর প্যাকেট বাড়ি নিয়ে স্বামীকে খাওয়ান। এরপর রাতে লিটন ডাইরিয়াসহ বমি করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা জানিয়েছেন।
এছাড়া ডা. রহমান খালিদের স্ত্রীসহ আরও তিনজন অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। এদের মধ্যে ডা. ওমর ফারুকসহ তিনজন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। অন্যরা বিভিন্ন ক্লিনিক ও বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল সেমিনার কক্ষে ব্র্যাক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সেমিনারের দুপুরে আপ্যায়ন করানো হয়। এরপর থেকে আমাদের ১০ জন চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশস্কাজনক হলে তাদের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, ১০ জনের মতো আমাদের এখানে ভর্তি আছে এবং ১৮ জনের মতো অসুস্থ হয়েছে। অন্যদিকে উপশমের পারুল নামের এক আয়াআর স্বামী রাতেই অসুস্থ হয়েছে। তাকে আর হাসপাতালে আনা হয়নি। সকালে তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ব্র্যাক আয়োজিত (য²া) স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সেমিনারের নাছির বিরানী হাউজের সরবরাহকৃত বিরানী খাওয়ার পর উপশম হাসপাতালের আয়া পারুল বেগমের স্বামী লিটনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সদর হাসপাতালের ৮ ডাক্তার ও তাদের পরিবারের সদস্য ও শিশুসহ অন্তত ১৮জন ডায়রিয়া ও বুমিসহ অসুস্থ্য হয়ে সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়।