”লক্ষ্মীপুরে দালালের দোরাত্ম্যে পাসপোর্ট অফিস, গ্রাহক ভোগান্তি ‘চরমে’” শিরোনামে জাতীয়, স্থানীয় ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর, ওই পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ রবিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় এক দালালকে চিহ্নিত করে ৫শত টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্মীপুর মেশেনি রিডেবল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালালদের কাছে জিম্মি হয়েছে পড়ছে সাধারন গ্রাহকরা। এবিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বিষয়টি নজরে নেন। আজ রবিবার দুপুরে পাসপোর্ট অফিসের এক গ্রাহকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিক ভাবে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযানে নামেন। এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ী দেখে পাসপোর্ট অফিসের দালাল চক্রটি পালিয়ে যায়, একপর্যায়ে পাসপোর্ট অফিসের পাশে একটি কম্পিউটার দোকান থেকে এক দাললকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তার কাছ থেকে ৫শত টাকা জরিমানা এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্তক করা হয়।
এ সময় নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেন, আমি যতদিন এ কর্মস্থলে আছি, কোন দালালকে অফিসের ভেতর ডুকতে দেবো না। আমি কোন টাকা নেয় না এবং কোন দালালকে নিতেও দিবো না। গ্রাহকেদের যেকোন প্রয়োজনে তার সাথে সরাসরি কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তারা কথা দিয়েছেন আগামীতে তারা দালালদের দৌরাত্ব নিজ উদ্যোগে বন্ধ করবে। আশ করি আজ থেকে পাসপোর্ট অফিসে আর কোন গ্রাহক হয়রানিতে পড়বে না।