মি: খান তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাক গোল্ডস্মিথের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন।
সাদিক খানের বাবা ছিলেন একজন বাস ড্রাইভার। তিনি পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে আসেন অভিবাসী হয়ে। লেবার পার্টির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় কনজারভেটিভ পার্টির তরফ থেকে সাদিক খানের মুসলিম পরিচয়কে সামনে এনে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়েছিল।
এমনকি সাদিক খানের সাথে উগ্রপন্থীদের যোগাযোগ আছে বলে প্রচারণা চালায় কনজারভেটিভ পার্টি। কিন্তু নির্বাচনে এর কোন প্রভাব তৈরি হয়নি।
সাদিক খান তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জ্যাক গোল্ডস্মিথের চেয়ে প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছেন
লন্ডনের একটি বাংলা সাপ্তাহিকের সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন মি: খানের জয় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বহু সংস্কৃতির শহর হিসেবে লন্ডনের যে পরিচিতি আছে, এই বিজয় সে পরিচয়কে আরো জোরালো করবে বলে তিনি মনে করেন।
সাদিক খানের বিরুদ্ধে তার প্রতিপক্ষরা নেতিবাচক প্রচারণা চালালেও তিনি সেটি করেনি বলে উল্লেখ করেন মি: চৌধুরী। নির্বাচনী প্রচারণায় সাদিক খান তার কর্মসূচী তুলে ধরেছেন।
মি: চৌধুরী বলেন, সাদিক খান ধর্মীয় বিতর্কে না জড়িয়ে তিনি লন্ডনবাসীর জন্য কী করতে চান সেটি তুলে ধরেছেন।
লন্ডনের আবাসন সমস্যার সমাধান, পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি না করা – এসব বিষয়ে সাদিক খান তার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন।
এই বিজয়কে লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিনের জন্যও একটি বিজয় হিসাবে দেখা হচ্ছে। মি: করবিন গতবছর লেবার পার্টির দায়িত্ব নিয়েছেন। বিবিসি।