শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে ছাত্রছাত্রীরা সারিবদ্ধ হয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিশ্চিতের দাবিতে নানা শ্লোগান দিচ্ছে। বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সহ মাত্র তিন জন শিক্ষক। ওই তিনজন শিক্ষক ছাড়া আর কোন শিক্ষকে দেখতে পাওয়া যায়নি ওখানে।
একই অভিযোগ দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাগর, আতোয়ার, নবম শ্রেনীর বৃষ্টি, শাওনসহ অনেকের। ছাত্রছাত্রীদের ভাষ্য মতে, তাদের স্কুলে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ১১ জন শিক্ষক রয়েছেন। এসব শিক্ষকদের অনেকেই বেলা ১২ টার দিকে স্কুলে এসে দু‘একটি ক্লাসে নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি চলে যান। ফলে ছাত্রছাত্রীরা বাধ্য হয়ে তাদের মোট বিষয়ের অর্ধেকেরও কম ক্লাসে শিক্ষকদের পাঠদান নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে দিনের পর দিন ধরে বিদ্যালয়ের পড়া লেখা থেকে বঞ্ছিত হওয়ার কারণে শনিবার বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে সেখানকার প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থী। বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে যথাযত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে ছাত্রছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের অফিসের তালা খুলে দেয়।
এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের দাবি, স্কুলে কিছুটা শিক্ষক সংকট থাকায় ক্লাসের পাঠদানে কিছুটা সমস্যা ছিল। কিন্তু নতুন করে ৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৈয়ব আলী সাংবাদিককে বলেন, ওই বিদ্যালয়ে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি অব্যাহত আছে। কিন্তু শনিবার ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষে তালা লাগানোর বিষয়টি তাকে জানান হয়নি। তবে এনিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনাটি জেনে নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।