দুমকির ভারানি খালের সেতু নয়, যেন মরণ ফাঁদ

ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন ৭ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী

দুমকি সংবাদদাতা:
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ভারানি খালের উপর নির্মিত সেতুটি অতি পুরানো এবং জরাজীর্ণ হওয়ায় এর স্লিপার ভেঙ্গে মূল অবকাঠামো বেঁকে গিয়ে জনচলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লেবুখালী হাবিবুল্লাহ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১১শতাধিক শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে এই সেতুটি দিয়ে।

ভারানি খালের দু’পাশে রয়েছে ৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দুটি নূরানী মাদ্রাসা, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, রশি শিল্প এবং খালের পশ্চিম পাড়ে সেতু সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী একটি বাজার রয়েছে, যেটি সপ্তাহে দুই দিন সোম ও শুক্রবার হাট বসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ কাঁচা বাজার বেচাকেনা করা হয়।

এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ বলেন, সেতুটি অতি পুরানো হওয়ায় ইতোপূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উভয় তীরে সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে এবং জনসাধারণ চলাচলে নিষেধ করা হয়েছে।

লেবুখালী সরকারি হাবিবুল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুল ইসলাম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নিষেধ সত্ত্বেও তার বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সময় বাঁচানোর জন্য এই সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে। অতিদ্রুত তম সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার পাশাপাশি নতুন আরেকটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি করেন।

এ ব্যাপারে দুমকি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা সেতুটির ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় স্কীম পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments (0)
Add Comment