শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কামাড্যা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসা শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ঝরণা বেগমের (৩০) স্বামী সেকান্দার শেখকে আটক করেছে পুলিশ। যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ঝরণাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে সেকান্দার শেখ স্বীকার করেছেন।
গোসাইরহাট থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানান, ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা হাওলাদার বাজার দাখিল মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষিকা ছিলেন ঝরণা বেগম। ব্যবসার জন্য স্বামীকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ করে প্রায় চার লাখ টাকা এনে দেন ঝরণা। জুয়া খেলে সেকান্দার শেখ টাকাগুলো উড়িয়ে দেন। মাঝে মধ্যে তিনি বাড়িতে জুয়ার আসর বসাতেন। জুয়ায় হেরে গেলে প্রায়ই ঝরণাকে মারধর করতেন। জুয়া খেলার জন্য ঝরণাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলতেন সেকান্দার শেখ।
সম্প্রতি সেকান্দার জুয়া খেলে হেরে গিয়ে ঝরণা ৩০ হাজার টাকা এনে দিতে বলেন বাবার বাড়ি থেকে। ঝরণা টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় দুই দিন আগে তাকে মারধর করে। বুধবার সকালে বাড়ির মুরগির খামারের ভেতরে ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় ঝরণার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়ে। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সেকান্দার শেখকে আটক করেছে পুলিশ। ঝরণার মা জাকিয়া বেগম বাদি হয়ে গোসাইরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সেকান্দারের বরাত দিয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, যৌতুকের দাবি করা টাকা না দেওয়ায় মঙ্গলবার ভোররাতে সেকান্দার মারধর করে ঝরণা বেগমকে। পরে গলায় ওড়না পেচিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে সেকান্দার শেখ।