যাদের মাছ-মাংস খাওয়ার সামর্থ্য নেই, তাদের অন্যতম ভরসা ছিল শাক-সবজি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে শাক-সবজির উচ্চমূল্য তাদের জন্য বিলাসিতায় পরিণত হয়েছে। লক্ষ্মীপুরসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায়, এগুলো কেনা সাধারণ মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
লক্ষ্মীপুরের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ সবজিগুলোও এখন একশ’ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। যেমন, কাঁচা মরিচের দাম ৪২০ টাকা কেজি, টমেটো ২৬০ টাকা কেজি, ধুন্দল ও করলার দাম ১০০-১২০ টাকা, বরবটি ১৬০ টাকা, এবং গাজর ১৮০ টাকা কেজি। এছাড়া পটল, ঢ্যাঁড়স, ওলকচুর মতো সাধারণ সবজির দামও অনেক বেশি। এমনকি শাকের আঁটিও সাধারণ মানুষের জন্য ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।
ফরহাদ হোসেন, একজন স্থানীয় বাসিন্দা, জানিয়েছেন যে এক কেজি ধুন্দল কিনতে তার ১২০ টাকা লেগেছে, যা পূর্বে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় কেনা যেত। অন্য বাসিন্দা মেজবাহ উদ্দিনের মতে, এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে, একশ’ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যায় না। মাছ-মাংসের উচ্চমূল্যের কারণে যারা শাক-সবজির ওপর নির্ভর করতেন, তাদের জন্য এটি খুবই সংকটময় অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় কাঁচা মালের ব্যবসায়ীরা জানান, বন্যার কারণে লক্ষ্মীপুরে সবজির উৎপাদন কম হয়েছে, যার ফলে অন্য জেলা থেকে সবজি আমদানি করতে হচ্ছে। এ কারণে আমদানির খরচও বেড়ে গেছে। এছাড়া উৎপাদন কম হওয়ায় অন্যান্য স্থানেও সবজির দাম বেশি।
শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। প্রতিদিনের খাবারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।