সাদেক আহমেদ:
প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের অর্ন্তভূক্তি, অবস্থান এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া রোধে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শিশুদের মানসিক উন্নয়ন ও আচরণগত পরিবর্তন এনে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা গ্রহণকে উৎসাহিত করবে এবং শিক্ষার বৃহত্তর পরিমন্ডলে প্রবেশের পথকে সহজ করে তুলবে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা একটি শিশুর মানসিক বিকাশকে ত্বরান্বিত করে সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
এজন্যই জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এক বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির পূর্বে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি নামে একটি শ্রেণি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এই শ্রেণিতে ক্লাস নেয়ার জন্য প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১টি করে সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কয়েকটি সার্কুলার দিয়ে প্রতিটি পুরাতন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য একজন করে সহকারী শিক্ষক নিযুক্ত করা হয় যেটাকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নামে অভিহিত কর হয়। এই পদের নাম আসলে সহকারী শিক্ষক, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক নয়। আর পূর্বে যেসব সহকারী শিক্ষক অবসর নিয়েছেন বা চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তাদের পদগুলোই হচ্ছে শূন্য পদ। অর্থাৎ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নিযুক্ত শিক্ষকদের পদটি হচ্ছে রাজস্বখাতে সৃষ্ট পদ এবং বাকিগুলো হচ্ছে রাজস্বখাতে শূন্যপদ। দুটো পদের মধ্যে বেতন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, মর্যাদার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই কারণ উভয় পদই হচ্ছে সহকারী শিক্ষকের পদ।নতুন সহকারী শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক) হিসেবে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদেরকে নব্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পদায়ন করা হয়।
সরকারের প্রাক-শিক্ষার (Early Learning) গুরুত্ব এবং ইতিবাচক ফলাফল শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার প্রস্তুতিমূলক ভিতকে সুদৃঢ় করবে। এর ফলে সার্বিক শিক্ষা গ্রহণের পথ অনেকটাই নিশ্চিত হবে। এজন্যই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে ‘সকলের জন্য শিক্ষা’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়া হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ ৩ থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুরা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। বর্তমানে ৫ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রস্তুতিমূলক এক বছর মেয়াদী শিক্ষা কার্যক্রম প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রচলিত প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার মান এবং সেবার ক্ষেত্রটি ক্ষেত্র ভেদে পার্থক্য আছে। অনেক স্কুলের কাঠামোগত মান উন্নত নয়, সুযোগ সুবিধা অপর্যাপ্ত। পর্যাপ্ত শিক্ষক, শিক্ষা ও খেলার সামগ্রি, বই, শ্রেণি কক্ষ, পরিস্কার পচ্ছিন্নতা ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা এবং ওয়াসরুম/টয়লেট সুযোগ সুবিধা অপর্যাপ্ত। এ সমস্ত অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা ও সেবা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধ পরিকর এবং ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। একটি শিশুবান্ধব শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে সার্বজনীন এবং বৈষম্যহীন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যাপক উদ্যোগ নিযেছে সরকার। সে বিবেচনায় বস্তি এবং পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দিচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষাভাষি নৃগোষ্ঠীর শিশুরা, অবহেলিত বা বঞ্চিত শিশুদের সামগ্রিকভাবে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় এনে সব শিশুর আনন্দদায়ক শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের লক্ষ্য।
গুণগত মানসম্পন্ন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে যেসকল পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সেগুলো হলো: চলমান প্রাক-প্রাথমিক স্কুলগুলোকে শিশুবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, নূতন নূতন প্রাক-প্রাথমিক স্কুল স্থাপন করতে হবে, গুণগত মান সম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করতে হবে, দক্ষতার সাথে সার্বিক তত্ত্বাবধান, পরিবীক্ষণ এবং মুল্যায়ন, মান সম্পন্ন সেবা প্রদানের সুবিধার্থে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে, সফলতার সাথে জাতীয় পাঠ্যক্রম অনুসরণ করতে হবে, মাঠ পর্যায়ে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রসারে প্রশাসনিক ও ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি শিশু এবং অভিভাবকদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টির জন্য যে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে তা আরো সম্প্রসারিত করা, প্রতিষ্ঠানসমূহে শিক্ষক, শিক্ষার উপকরণ সামগ্রী এবং সুযোগ সুবিধা সরবরাহ বাড়াতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে কমপক্ষে ২জন সহকারী শিক্ষককে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠদানের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমরা জানি শিশুরা জন্ম থেকেই প্রকৃতি এবং পারিবারিক অবস্থা থেকে অনেক কিছুই শিখে থাকে। প্রাকৃতিক ও ব্যবহারিক জীবন থেকে শিশুরা যা শিখে থাকে তাই তাদের বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলে এবং ভবিষ্যতে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়। শিশু বেড়ে উঠার সাথে সাথে শিশুদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা তাদের অনুসদ্ধিৎসু মন চার পাশের জীবন ও চলমান বিষয়কে জানার আগ্রহ সৃষ্টি করে। তাই শিশুর বাসস্থান, বিদ্যালয় এবং পরিবেশ নিয়ে যে জগতে শিশুর অবস্থান সেখানে যত বেশি শিশুবান্ধব সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে ততই তারা বেশি বিকশিত হবে। শিশুর সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এক্ষেত্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারে জনসচেতনতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
এবার আসা যাক প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠদান করেন এমন শিক্ষকের প্রতিদিনের কিছু কাজের কথানিয়ে স্কুলে পৌঁছতে হবে সকাল ৯টায়। তাই একটু সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের না হলে টেনশনে পরতে হয় ।সকালের রান্না শেষ হতে না হতেই নিজের জন্য কিছু খাবার নিয়ে চলে যান স্কুলে। বিদ্যালয়ে পৌঁছেই হাজিরা খাতায় নামটা লিখেই শুরু করে দেন পাঠটিকা লেখা। কোন রকমে সংক্ষেপে পাঠটিকা লিখে দৌড় দেন ক্লাসে। হাতে থাকে বহুল আলোচিত ড়হব ফধু ড়হব ড়িৎফ এর খাতা ও শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা। ক্লাসে ৪০/৪২ জন কোন কোন বিদ্যালয়ে তারও বেশি শিক্ষার্থী। শুরু হয় কুশল বিনিময়, শ্রেণীকরণ, আবেগ সৃষ্টি, পূর্ব পাঠ আলোচনা, পাঠ ঘোষণা, পূর্ব জ্ঞান যাচাই, উপকরণ প্রদর্শন, শিক্ষকের পাঠ, শিক্ষার্থী পাঠ, পাঠ চলাকালীন মূল্যায়ন, নিরাময়মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ড়হব ফধু ড়হব ড়িৎফ আরো কত কি। এভাবে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির ক্লাস চলে একটানা সকাল ১১:৩০ মি. পর্য্ন্ত।
একটিশিশুকে বিদ্যাশিক্ষার নামে নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষে অন্যন্য শ্রিণির ক্লাসের সময় বিবেচনায় প্রায় ৪টি ক্লাসের সমপরিমাণ সময় অটকে রেখে তাকে শিক্ষাগ্রহণে বাধ্য করাটা কতটা বিজ্ঞান সম্মত ও যৌক্তিক তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
শিশুশিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও শিক্ষা উপকরণ যতটা গুরুত্ব রাখে একজন শিক্ষকের গুরুত্বও তার অপেক্ষা কম নয়।তাই শিক্ষা ব্যবস্থায় ইস্পিত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষক যেন শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারেন সে বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া দরকার।তবে বর্তমানে যে সকল সহকারী শিক্ষকগণ প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির দায়িত্ব পালন করছেন তাদের কথা চিন্তা করলে দেখা যায় বিরতিহীন ভাবে ২ঘন্টা ৩০ মি. সময় একই শ্রেণিক্ষকে অবস্থান করাটা একজন শিক্ষার্থীর জন্য যতটা প্রহসনের একজন শিক্ষকের জন্যও তেমনি। এ সময়ের জন্য নির্ধারিত পাঠ দান যদি সমান দুই ভাগে অথবা তিন ভাগে ভাগ করে কিছুটা সময় বিরতি দিয়ে একাধিক শিক্ষক দ্বারা করা হতো তবে হয়তো এতটা কষ্টকর মনে হতো না। কারণ কিছুটা সময় বিরতির পর কাজের গতি বৃদ্ধি পায় একথা সবারই জানা।
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা সেবাপ্রদানের ন্ন্নুতম মানদন্ডসমূহ যা একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ৩০জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার কথা।আরও বলা হয়েছে যদি শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হয় তবে শাখা করার কথা। অনেক বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ বা তারও বেশি। নির্ধেশনা মোতাবেক শাখা করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। অসহায় সহকারী শিক্ষক যেভাবে পারছেন চালিয়ে যাচ্ছেন। মতামত দিতে গেলে তাকে শুনতে হয় নানা কথা।এই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে দৈনিক সর্বোচছ ক্লাস হবে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট। বাস্তবে দেখা যায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট সময় ক্ল্সা করা বাদ্যতামূলক করা হয়েছে।শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের আগ্রহের এ ক্ষেত্রে কোন মূল্য দেওয়া হচ্ছে না।প্রসঙ্গত বলতে হয় একজন শিক্ষক আর একজন অফিসকর্মীর কাজ সমান নয়। একজন অফিসকর্মী দাপ্তরিক জ্ঞান আর শরীরে শক্তি থাকলে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে কিন্তু শিশুদের নিয়ে যে শিক্ষক একটা নির্দ্ষ্িঠ সময় শেণিকক্ষে পাঠদান করেন তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা চাই তা না হলে শিক্ষক তার ছাত্রদের প্রতি দয়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবেন না।
প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে জ্ঞান বিকাশের প্রথম স্তর মাত্র। শিশুশিক্ষার হাতেখড়ি পারিবারিকভাবে পিতামাতার মাধ্যমে হলেও প্রাথমিক স্তরের শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাপ্তবয়স্কদের যে পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয়, তা শিশুদের বেলায় বাঞ্ছনীয় নয়। শিশুদের জন্য দরকার শিশুবান্ধব মানসম্মত শিক্ষা। শিশুশিক্ষায় শিশুদের মনের বিকাশে মনোবিজ্ঞানের ক্ষীণ প্রভাবের কারণেই শিশুরা জীবনের শুরুতেই শিক্ষার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বিদ্যমান শিক্ষার পরিবেশ তাদের মেধা বিকাশের অন্তরায়। শিক্ষক আর অভিভাবকের কড়া নিয়মশাসনে ভালো পড়তে বা লিখতে পারছে ঠিকই তবে চিন্তাশীল বা উদ্ভাবনী হয়ে উঠতে ব্যর্থ হচ্ছে। আসলে তাদের এ শিক্ষা মননশীলতা বিকাশে সহায়ক নয়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো- পরিপূর্ণ মানবিক গুণে মানুষ হয়ে উঠা। পিতামাতা তার সন্তানকে দিয়ে ভালো রেজাল্ট করাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের শিক্ষিত হয়ে উঠছে না। শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশের যথোপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় তারা বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে করে টালমাটাল হচ্ছে পুরো সমাজ। শিশুশিক্ষার বর্তমান ধারা সংশোধন করে মনোবিজ্ঞান ভিত্তিক পড়ালেখা অত্যন্ত জরুরী।
বিখ্যাত সাহিত্যিক আবুল ফজল বলেছেন ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতির প্রাণশক্তি তৈরির কারখানা আর রাষ্ট্র ও সমাজ সব চাহিদার সরবরাহ কেন্দ্র। এখানে ত্রুটি ঘটলে দুর্বল আর পঙ্গু না করে ছাড়বে না।’ যে স্থানেই হোক না কেন আমাদের উচিৎ শিক্ষার সঠিক সংজ্ঞার প্রতি খেয়াল রাখা। নচেৎ পুরো সমাজকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে এবং যার প্রভাব সুদূরপ্রসারি।
লেখক:
কবি ও কলামিস্ট, কিশেরগঞ্জ, বাংলাদেশ
মোবাইল-১০৯৭৮০৭৮০৮৪
ইমেইল: sadekch75@gmail.com