শুরু হচ্ছে ঢাকা-রাজশাহী রুটের ফ্লাইট

রাজশাহী প্রতিনিধি:

দীর্ঘ আট বছর বন্ধ থাকার পর রাজশাহী-ঢাকা রুটে আবারও চালু হতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট। আগামী ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুটে ফ্লাইট চালুর কথা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে এরই মধ্যে রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমান বন্দরের টার্মিনাল স্থাপন, ফাইবার ফার্নিচার স্থাপন, সীমানা প্রাচীর সম্প্রসারণ, পেট্রল সড়ক ও রানওয়ে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। গত ২৪ ফেব্র“য়ারি সফরকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, “অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য ইতোমধ্যে ৭৪ আসনের ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ কেনা হয়েছে। উড়োজাহাজ দু’টি বাংলাদেশ বিমানের বহরে যুক্ত হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ এপ্রিল রাজশাহী-ঢাকা রুটে আবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হবে।” মন্ত্রী বলেন, “এটি রাজশাহীবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। তাই যাত্রী না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেলেও আবারও এই রুটের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এখান থেকে কার্গো বিমানও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।” তখন মালামাল পরিবহনেও সুবিধা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে, রাজশাহী শাহ মখদুম বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সেতাফুর রহমান জানিয়েছেন, তাদের সব ধরণের প্রস্তুতিই প্রায় শেষ। সংস্কার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। উদ্বোধনের দিন থেকে সপ্তাহে তিনদিন অর্থাৎ মঙ্গল, শুক্র ও রোববার রাজশাহী-ঢাকা রুটে যাত্রী পরিবহন করবে বাংলাদেশ বিমান। বেলা ২টা ১৫ মিনিটে বিমানের এই ফ্লাইট রাজধানী ঢাকা ছাড়বে, রাজশাহী পৌঁছাবে বিকেলে ৩টায়। ফিরতি ফ্লাইট দুপুর সোয়া ৩টায় রাজশাহী ছেড়ে বিকেল ৪টায় ঢাকা পৌঁছাবে। অভ্যন্তরীণ রুটে আবারও ফ্লাইট চালু হলে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা সহজেই রাজশাহী রুটের সঙ্গে আকাশ পথেই সংযুক্ত হতে পারবেন বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন সেতাফুর রহমান।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর দাবিটি দীর্ঘ দিনের। তাই তিনি ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে চেষ্টা করে আসছিলেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দেওয়ায় রাজশাহীবাসীর এই দাবিটি পূরণ হতে যাচ্ছে। বিমানমন্ত্রী ইতোমধ্যে রাজশাহীতে ঘোষণাও দিয়েছেন। এপ্রিলেই ফ্লাইট চলাচল উদ্বোধন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর ছিল লাভজনক অবস্থানে। এরপর ধীরে ধীরে নানা কারণে এরুটে বিমানের যাত্রী কমতে থাকে। কমতে থাকে মালামাল বুকিংয়ের পরিমাণও। এ সব কারণে ২০০৭ সালে কর্তৃপক্ষ এই রুটে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে। অবশ্য ২০১০ সালে গ্যালাক্সি ফ্লাইং একাডেমি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বৈমানিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে বিমানবন্দরটিতে।

Comments (0)
Add Comment