ঈদের দিন (গত বৃহস্পতিবার) সকালে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আধা কিলোমিটারের মধ্যে ওই এলাকায় একদল পুলিশের ওপর জঙ্গিরা হামলা চালায়। হামলাকারীদের সঙ্গে ব্যাগ থাকায় দল্লাশি করতে গেলে তাঁরা পুলিশের দিকে গ্রেনেড ছুড়ে মারেন। পরে কয়েকজনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন ও গুলি ছোড়েন। তারা বোমা হামলা করে ও কুপিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। এরপর প্রায় চার ঘণ্টা পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে জঙ্গিদের থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। এতে এক জঙ্গি নিহত হয়। দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে স্থানীয় এক নারী নিজের ঘরে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান। গুলি ও বোমায় আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন।
জানা গেছে, সন্দেহভাজন জঙ্গি মো. শফিউল আলম (২০) পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যায় সরাসরি জড়িত। এ মামলায় আদালতে দেওয়া অভিযোগপত্রে শফিউল আলমের নাম উলেখ আছে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারি শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠে গিয়ে যজ্ঞেশ্বর চন্দ্র রায়কে (৫০) গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ মামলায় অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনার পর পুলিশ জানতে পারে আটক শফিউল আলম পলাতক ৬ জনের একজন। পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার যজ্ঞেশ্বর হত্যায় শফিউলের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, ‘পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল।’