শ্রীবরদীতে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূ নিখোঁজ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে মোছা, লাবনী বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছে। গত ৩০ নভেম্বর রাতে রহস্যজনকভাবে উপজেলার হাসধরা গ্রামের স্বামী আয়নাল হকের বাড়ি থেকে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ২৬ নভেম্বর শ্রীবরদী থানায় জিডি করেছেন লাবনীর বাবা আসাদুজ্জামান ভাদু। ঘটনার এক মাস ২৫ দিন পরেও নিখোঁজ লাবনীকে খোঁজে পাচ্ছে না পরিবারের লোকজন। লাবনীকে না পেয়ে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তার মা মিনা বেগম, বাবা আসাদুজ্জামান ভাদু সহ তার দাদা-দাদী।

জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার বাঘহাতা গ্রামের আসাদুজ্জামান ভাদুর মেয়ে লাবনী বেগম। প্রায় তিন বছর আগে লাবনীর বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী হাসধরা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে আয়নাল হকের সাথে। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্বামী আয়নাল হকের বাড়ি থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় লাবনী। পরদিন লাবনী নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ব্যাপারে লাবনীর মা বাবা খোঁজাখোজি করেন। লাবনীকে কোথাও সন্ধান না পেয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর শ্রীবরদী থানায় জিডি করেন তার বাবা আসাদুজ্জামান ভাদু।

তিনি অভিযোগ তুলেন, তার জামাই আয়নাল হকের কাছে শুনে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজখবর করেছে। কোথাও খোঁজে পায়নি। তবে তারা জানতে পায় তাদের প্রতিবেশী এরশাদ ওরফে সোহেল ঘটনার রাতে কৌশলে তার মেয়ে লাবনীকে তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়েছে। এর পর থেকে তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ।

লাবনীর শ্বশুর নুর ইসলাম জানান, ওই দিন লাবনীর শ্বাশুরি অসুস্থ্য ছিল। তার ছেলেও বাড়িতে ছিল না। তিনি বলেন, সন্ধ্যার দিকে কাপড় চোপর নিয়ে কাউকে না জানিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আর ফিরে আসেনি। লাবনীর দাদা মিনজু মিয়া জানান, আমরা অনেক জায়গায় খোঁজেছি। কোথাও পাইলাম না। আমরা জানি, ভোলা জেলার সদর উপজেলার মির্জাকালু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ভূইয়ার ছেলে এরশাদ ওরফে সোহেল প্রায় ২০ বছর আগে আমগোর প্রতিবেশী ছামিউল হকের মেয়ে স্বপ্নাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সে এখানেই থাকতো। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। সে অটো চালিয়ে সংসার চালাতো। এরশাদ পরিকল্পিতভাবে লাবনীকে নিয়ে গেছে। আমরা লাবনীর সন্ধান চাই।

লাবনীর মা মিনা বেগম বলেন, মেলা দিন অইলো লাবনীর খোঁজ পাইতাছি না। আমরা লাবনীকে চাই। এ ব্যাপারে কথা হয় শ্রীবরদী থানার এসআই নুর হকের সাথে। তিনি বলেন, আমরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করছি। সন্ধান পেলেই উদ্ধার করা হবে। দ্রুতই লাবনীকে খোঁজে পাবে তার মা বাবা। এমনটাই প্রত্যাশা লাবনীর পরিবারসহ স্থানীয়দের।

Comments (0)
Add Comment