রাজৈর প্রতিনিধি :
রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের পূর্বপাড়ায় গত ২৪ শে ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে নববধু উন্নতি মন্ডলকে পাষন্ড স্বামী ও শ^শুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে বাড়ির সামনে আম গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে এবং নববধু আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালায়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। সংবাদ সম্মেলনে উন্নতি মন্ডলের বাবা দরিদ্র ভ্যানচালক বিশ^নাথ মন্ডল এসব অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর রাতে আমরা থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত অফিসার মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। রাজের থানার এস .আই অমল কুমার রায় অজ্ঞাত কারনে সুকৌশলে রাতেই লাশ থানায় নিয়ে আসে এবং আমার কাছ থেকে খরচ বাবদ নগদ ৭০০০/(সাত হাজার) টাকা জোরপূর্বক আদায় করেন। রাজৈর থানার এস. আই অলক কুমার মন্ডল আসামী গীতা রানীর আত্মীয় হওয়ায় অমল কুমার রায় এমন আচরণ করতে পারেন বলে আমাদের সন্দেহ হয়। প্রতিবেশী বৈদ্যনাথ ব্যানার্জী জানান, আমার আশ্রিত বিশ^নাথ মন্ডল। রাতে হত্যার ঘটনা শুনে আমি খালি গায়ে দৌড়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ওরা পালিয়ে গেছে। ইতিমধ্যে থানায় খবর দিলে এস.আই অমল কুমার রায় এসে বলেন, গাছের থেকে লাশ নামাও। এলাকার মেম্বার খোকন বিশ^াসকে ধমক দিয়ে গাছে উঠায় এবং লাশ নামিয়ে নিয়ে থানায় চলে যায়। মেম্বার খোকন বিশ^াস বলেন, আমাকে এস আই অমল একটা কাগজে সই করতে বলেন। আমি সই করে দিলে সে লাশ ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যায়। নিহতের পিতা বিশ^নাথ মন্ডল আরো বলেন, আমি চারশত লোককে খাওয়ানো ও পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী পূরণ করতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে ওরা হত্যা করেছে। আমি গরীব মানুষ আমার টাকা নেই। আসামীদের অনেক টাকা আছে তারা পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট টাকা দিয়ে ইচ্ছে মত করিয়ে আনতে পারে। ইতি মধ্যে মাদারীপুরের আর এম ও শশাঙ্ক চৌধুরী আমাকে টাকার বিনিময়ে মিটমাট হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন । আমি রাজি হইনি। আমি আমার কলিজার টুকরো মেয়ে হত্যার বিচার চাই। শশাঙ্ক চৌধুরী জানান, আমি কাউকে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব দেইনি। রাজৈর থানার এস আই অমল কুমার রায় বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি তবে সঙ্গীয় অন্য কেউ নিতে পারে। রাজৈর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন ভুইয়া বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার আই ও ইতিমধ্যে পরিবর্তন করে দিয়েছি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। তবে এ ধরনের প্রমান পাওয়া গেলে টাকা ফেরত সহ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটির (বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল) একটি প্রতিনিধি টিম ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
ঘটনার সত্যতা উদঘাটনে মামলাটি অনতিবিলম্বে গোয়েন্দা বিভাগে হস্তান্তরের জন্য এলাকাবাসি জোর দাবী জানিয়েছেন।