হরতালের মধ্যে বন্ধ থাকা নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নগর পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) মোহা.আব্দুল জলিল মণ্ডল। গত কাল সকালে সিএমপি সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশ কমিশনার এ আহ্বান জানিয়েছেন। সিএমপি কমিশনার বলেন, “আজ (সোমবার) ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। আমরা তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছি। আমি আশা করব, শহরের সব স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে এবং তারা নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবেন।” তিনি বলেন, “চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটছে। এর বাইরে জনজীবন এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন যুক্তি নেই।” সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার জানান, “৬ জানুয়ারি অবরোধ শুরুর পর থেকে ২২ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত ৭৮টি নাশকতার মামলা হয়েছে। এসব মামলায় মোট এক হাজার ৮৭৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৭৩ জনকে।” তিনি জানান, “নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জন আসামি এ পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সিএমপি কমিশনার বলেন, নাশকতায় কারা অর্থ যোগান দিচ্ছে, কারা সহযোগিতা দিচ্ছে তাদের মধ্যে অনেকের নাম আমরা পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল ডিপো উড়িয়ে দেয়ার মিশন নিয়ে একজন এসেছিল, তাকে আমরা গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।” ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় সহিংসতা প্রতিরোধে পুলিশ যতটা সক্রিয় ছিল এখন ততটা সক্রিয় নয় কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পুলিশ এখনও সক্রিয় আছে। এজন্য চট্টগ্রামে নাশকতা তেমন নেই।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে অবদান রাখায় চারজনের হাতে আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন সিএমপি কমিশনার। এরা হলেন, মোস্তফা আমির, আব্দুল মান্নান, শহীদুল ইসলাম জুয়েল এবং মো.নাসিম।