উক্ত আলোচনাসভায় আরো বলা হয়, এই ঘোষণা কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সাহায্য করবে না। বরং চাপ প্রয়োগ করে ইসলামাবাদকে তাদের নীতি পরিবর্তনে এটা ব্যর্থ হবে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনোভাবেই সাহায্য করবে না পাকিস্তান।
আলোচনায় অংশ নেওয়া ওয়াশিংটনের আমেরিকান ইউনিভার্সির পাবলিক অ্যাফেয়ার্স স্কুলের সহকারী অধ্যাপক স্টেফেন ট্যানকেল বলেন, একটি দেশকে ‘সন্ত্রাসবাদে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকের’ তকমা দেওয়া সমস্যা সমাধানের উপায় (অস্ত্রোপচারের যন্ত্র) নয়, এটা সত্যি সত্যি একটি বড় আঘাত (হ্যামার)। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সুযোগের প্রায় সবটাই নষ্ট করে দিতে পারে বলে মত দেন তিনি।
পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র ঘোষণার চিন্তাভাবনা থেকে মার্কিন প্রশাসনকে সরে আসার আহ্বান জানান রেডিও মার্শালের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক দাউদ খাত্তাক। দাউদ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন—এটা পাল্টা প্রতিরোধ তৈরি করবে। মার্কিন প্রশাসনের প্রতি তিনি বলেন, ‘আজই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে দিন। কিন্তু এরপর কী করবেন, যদি সেখানে কোনো পরিবর্তন না আসে? আপনারা কি আরও কঠিন পদক্ষেপ নেবেন?’
পাকিস্তানকে বাগে আনতে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র ঘোষণা না করে ট্রাম্প প্রশাসনকে অন্য পথে হাঁটার পরামর্শ দেন ওয়াশিংটনের ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের ফেলো ও পাকিস্তানের রাজনীতির পর্যবেক্ষক মাদিহা আফজাল। তিনি বলেন, একটি উপায়ে নয়, অন্য আরও পন্থায় এগোনো যেতে পারে। আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে পাকিস্তানকে প্রভাবিত করার জন্য মার্কিন প্রশাসনকে চীনের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।