হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের মানুষ মিলেই বাঙালি জাতি। তাই ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো অশুভ শক্তি যাতে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
“সব ধর্মের মূল বাণী মানবকল্যাণ। তাই ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যাতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।” তিনি বলেন, সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন ও হানাহানি দূর করে মানুষে মানুষে অকৃত্রিম ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তোলাই ছিল শ্রীকৃষ্ণের মূল দর্শন।
“অধর্ম ও দুর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে আবির্ভূত হয়েছেন আপন মহিমায়।” অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃতবৃন্দ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও নেপালের রাষ্ট্রদূত চপ লাল ভূষাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।