তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের ফলে আমরা অর্জন করেছি প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ বিশাল এক সমুদ্র এলাকা। এই বিস্তৃত সমুদ্রসম্পদকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে নৌবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের ব্লু ইকোনমির বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। আমি আশা করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আপনারা অর্পিত দায়িত্ব সফল ও নিরাপদভাবে পালন করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএন ডকইয়ার্ড আন্তর্জাতিক মান (আইএসও : ৯০০০) বজায় রেখে যুদ্ধজাহাজের সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ইতিমধ্যে ডকইয়ার্ডের নিজস্ব ফ্লোটিং ডক ‘বিএনএফডি সুন্দরবন’ ও বিএন স্লিপওয়ে এক হাজারেরও বেশি দেশি-বিদেশি যুদ্ধজাহাজের সফল ডকিং ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব জনবল, প্রযুক্তি ও কারিগরি দক্ষতা ব্যবহার করে এই ডকইয়ার্ড সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে যুদ্ধজাহাজগুলোকে নৌবাহিনীতে দীর্ঘকাল অপারেশনাল রাখছে। ফলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএন ডকইয়ার্ডের এ অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আজ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান করা হলো, যা নৌবাহিনীর ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে থাকবে। বিএন ডকইয়ার্ডের এ কৃতিত্বের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানান।
সরকারপ্রধান আস্থা প্রকাশ করে বলেন, ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডপ্রাপ্ত বিএন ডকইয়ার্ড আরো কার্যকরভাবে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি অব্যাহত রাখবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ডকইয়ার্ডে পৌঁছলে তাঁকে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং ডকইয়ার্ডের কমোডর সুপারিনটেনডেন্ট কমোডর মনিরুল হক স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রী সালাম গ্রহণ করেন এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিএন ডকইয়ার্ডের কমার্ন্ডিং অফিসার ইমতিয়াজ উদ্দিনের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন।