আমদানি-রফতানি বেড়ে চলায়, সমুদ্র তীরে বে টার্মিনাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সব সমীক্ষা শেষ, এরইমধ্যে শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণ। একই সাথে চলতি বছরের শেষ দিকে, শুরু হতে পারে নির্মাণ কাজও। বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, চালুর পর যাতে পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে কোনো জটিলতা তৈরি না হয়; সেজন্য আগেই নীতিমালা তৈরির পরামর্শ তাদের।
প্রতিবছর চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামায় প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ১০ শতাংশ হারে। সবশেষ গেল বছর যেখানে ১৭ লাখ কন্টেইনারসহ মালামাল ওঠানামা হয়েছে, ৫ কোটি টনের বেশি। বন্দরের এই সক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে জরুরি হয়ে পড়েছে অবকাঠামো সম্প্রসারণ। তাই, নগরীর পতেঙ্গা থেকে কাট্টলি পর্যন্ত সমুদ্র উপকূলে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টার্মিনাল তৈরির উদ্যোগ।
জোয়ার-ভাটা নির্ভর হওয়ায় প্রতিদিন চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ আসা-যাওয়ায় সময় পাওয়া যায় মাত্র ৪ ঘন্টা। প্রবেশ সম্ভব হয় সর্বোচ্চ ৩ হাজার কন্টেইনার ধারণক্ষমতার জাহাজ। আর নদীতে বাঁকের কারণে ব্যাহত হয় নৌচলাচল। তবে রাত দিন ২৪ ঘন্টায় বে-টার্মিনালে ভিড়তে পারবে ৫ হাজার কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতার জাহাজও। চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্মাণকাজ শুরুর কথা এই টার্মিনালের। তবে এর নির্মাণ আর পরিচালনা যাতে এনসিটির মতো জটিলতায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার তাগিদ দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বন্দরের সবচেয়ে বড় এই টার্মিনাল নির্মাণে জায়গা লাগবে প্রায় আড়াই হাজার একর।