প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে ২১৪ জনকে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে পদায়ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে পদোন্নতিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদেরকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১৩ আগস্ট পূর্বাহ্নে তারা বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন।
শুধু তাই নয়, নতুন কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পদোন্নতি কার্যকর তো হবেই না বরং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত যে সকল কর্মকর্তা লিয়েন, শিক্ষা ছুটি বা প্রেষণে রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে ছুটি বা প্রেষণ শেষে কর্মস্থলে যোগদানের পর এই পদোন্নতি কার্যকর হবে বলেও পদোন্নতির আদেশপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এক সঙ্গে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসকের পদোন্নতিতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটে চিকিৎসকরা আনন্দে আপ্লুত। পদোন্নতিপ্রাপ্তরা একে অপরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে অভিনন্দন জানান। পদোন্নতিপ্রাপ্তরা জুনিয়র চিকিৎসকদের মিষ্টি কিনেও খাওয়ান।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ইনস্টিটিউটের ৩৪৬ জন সহকারী অধ্যাপককে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিএমএ’র পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত চিকিৎসকরা ১৯ হাজার বার পদোন্নতি পেয়েছে। মেধা ও যোগ্যতা অনুসারে চিকিৎসকদের কেউ কেউ তিন চার বার পদোন্নতি পেয়েছেন।
যোগ্য ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের উচ্চতর পদে পদোন্নতির মাধ্যমে চিকিৎসকদের কর্মস্পৃহা ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে ফলে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হবে এবং দেশের সাধারণ নাগরিকরা স্বল্পব্যয়ে উন্নত ও মানসন্মত সেবা পাবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রমার্জনা: পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) পদোন্নতি নীতিমালা অনুসারে সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে হলে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতির দিন থেকে তিন বছরের চাকরি অভিজ্ঞতা থাকতে হয়। কিন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অনেকেরই তা নেই। কারো কারো সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে চাকরির মেয়াদ ছয়মাসও হয়নি। দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকটে পড়াশুনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রপতির বিশেষ প্রমার্জনার মাধ্যমে এ পদোন্নতি দেয়া হয়। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্যাডার ছাড়াও নন-ক্যাডার চিকিৎসকরা রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ