রান্নায় স্বাদ বাড়ানোতে জিরার জুড়ি নেই। সাধারণ রান্নায় বুঝে শুনে কয়েক দানা জিরা দিয়ে দিলেই রান্নার স্বাদ হয়ে যায় দ্বিগুণ। যদিও সাধারণ অবস্থায় জিরার গন্ধ একটু কড়া ধরণের কিন্তু রান্নার পর খাবারের ঘ্রানে জিরা যোগ করে নতুন এক মাত্রা। তবে খাবারের স্বাদ গন্ধ বাড়ানোই কিন্তু জিরার কাজ নয়। রান্নায় জিরার ব্যবহার আমাদের নানা ধরণের মারাÍক শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কারণ খুব সাধারণ দেখতে এই জিরার রয়েছে অসাধারণ কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
১) জিরার মেডিক্যাল প্রোপার্টিস কিডনির পাথর প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং কিডনির সমস্যা জনিত নানা রোগের সমস্যা সমাধান করে।
২) যারা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন জিরা তাদের জন্য মহৌষধ। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১ কাপ জিরার চা পান করে নিন। পানিতে জিরা ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এর সাথে রাখুন কলা। ব্যস, দেখবেন খুব সহজেই ঘুম চলে আসবে।
৩) জিরার ভিটামিন সি ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশি, ফ্লু, অ্যাজমা ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করতে বিশেষভাবে কার্যকরী।
৪) প্রতিদিন জিরা খাওয়ার ফলে হজমের নানা সমস্যার সমাধান হয়। জিরার এনজাইম হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
৫) জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও দেহের টক্সিন দূর করতে জিরার জুড়ি নেই।
৬) জিরার আয়রন দেহের মেটাবোলিজম সিস্টেম উন্নত করে এবং দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঠিক পরিচালনা নিশ্চিত করে।
৭) মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতেও জিরা অনেক কার্যকরী। কারণ মাসিক চক্রকে জিরা স্টিমুলেট করে।
৮) জিরার অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক উপাদান ক্যান্সারের কোষ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের কোষ বাড়তে বাঁধা প্রদান করে।
৯) জিরা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখতে বিশেষ সহায়তা করে। এতে করে ডায়বেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১০) জিরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অর্থাৎ লোহিত রক্ত কণিকা বাড়ায়। এতে করে দূর হয় রক্তস্বল্পতার সমস্যা।