তারা বলেন, নিষিদ্ধ অটোরিক্সা, সিএনজি, মিনি বাস, মটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র দেখার নামে গাড়ির চাবি হাতে নিয়ে দালাল ও পুলিশ চালককে জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে।
জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মাতাল অবস্থায় আশুলিয়ার বাইপাইলস্থ ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে পুলিশ ইন্সপেক্টর টিআই জামান এক তুলকালাম কান্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইন্সপেক্টর জামান বাইপাইলে করিম সুপার মার্কেটের সামনে দাড় করিয়ে রাখা ক্ল্যাসিক পরিবহণের দুটি বাসের কাঁচ ও সামনে-পিছনের লাইট ভাংচুর করেন বলে বাসের স্টাফরা জানান। জানা গেছে, শনিবার রাতে টিআই জামান মদ্যপান করে তার বিশ্বস্ব অনুচর সোহেলকে যারা চাঁদা দিতে রাজি হয়নি তাদের খুঁজছিলেন তিনি। সোহেল নামের এই ব্যক্তিই টিআই জামানকে স্ট্যান্ডের পরিবহন থেকে চাঁদা তুলে দেয় বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী।
ঢাকাসহ বাংলাদেশে ৮টি বিভাগ, ৬৪টি জেলা, প্রায় ৬শ’ থানা রয়েছে, সরকারী সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি করেছেন। উপর মহল থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, প্রতিটি পুলিশ ইন্সপেক্টরের সতর্ক থাকতে হবে, তারা যেন দেশ ও জাতির নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করেন।
বলা হয়, ”সাধারণ জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিবে পুলিশ”, ”পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ”, ”সেবাই পুলিশের ধর্ম।” এটাই কি তার নমুনা?
এ ব্যাপারে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের একজন স্টাফ বলেন, ”এর আগেও টিআই জামান অনেক বার মদ খেয়ে বাইপাইল স্ট্যান্ডে এসে পরিবহন শ্রমিকদের মারধর করেন এবং অনেক গাড়ি ভাংচুর করেছেন। কিন্তু ওনারা তো বড় মানুষ! পুলিশ কর্মকর্তা। তাই তাদের অপরাধ দেখার কেউ নেই। আর কতকাল ওনারা কারণে- অকারণে আমাদের মারবে? আর আমরা মুখ বুঝে সয়ে গাড়ি চালাবো?”
স্থানীয় এক মহিলা চায়ের দোকানী জানান, ”জামান স্যার মদ্যপান করে এসে তার দোকানের কাস্টমারদেও হঠাৎ করেই মারধর শুরু করেন।” এ ব্যাপারে জামানের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে, তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল কল রিসিভ করেনি।
আজ সোমবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ টিআই ফরহাদ বলেন, ”আমি বিষয়টি বিভিন্নভাবে শুনেছি। এ বিষয়টি তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে উপর মহলের স্যার।”