করোনা ভাইরাসের মহামারীতে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। লকডাউনে বন্দী বিশ্ববাসী। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। এরই মধ্যে রমজান শেষে চলে আসে পবিত্র ঈদ উল ফিতর। কিন্তু এবারের ঈদ সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে উদযাপন করতে সরকারের পক্ষ থেকে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী- ঈদগাহ বা খোলা মাঠে কোনো ধরনের জামাতের আয়োজন করা যাবে না। তবে মসজিদে জামাত করতে কোন বাধা নেই বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা মেনে ঈদ উদযাপন করে হেযবুত তওহীদ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদ উল ফিতরের জামাতের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদ। ঈদের জামাতে হেযবুত তওহীদের পুরুষ ছাড়াও নারী ও শিশুদেরও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ও জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা। মসজিদে রাখা হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা।
সংগঠনটির প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হেযবুত তওহীদের এমামের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদে। সেখানে ঈদের জামাতে ঈমামতি করেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। এসময় সংক্ষিপ্ত আকারে খুৎবা পাঠ করেন তিনি।
খুৎবায় হেযবুত তওহীদের এমাম সকলকে করোনা সঙ্কট থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। চলমান মহামারী থেকে উত্তোরণের জন্য সজাগ ও সতর্ক থেকে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও বিশ্ববাসীকে করোনা সঙ্কট থেকে বাঁচতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। নামাজ শেষে মোনাজাতে বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তোরণের জন্য মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন তিনি।
অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ শুরু থেকেই দেশের আইন মান্যকারী একটি আন্দোলন এবং সরকারের দেয়া নির্দেশনার প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়ে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করেছে বলে জানান আন্দোলনের নেতারা।
হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান জানান- সরকারের পক্ষথেকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উদযাপন করতে বলা হয়েছে। আর দেশের সারাদেশের মত হেযবুত তওহীদ রাজধানী ঢাকাসহ, দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ উল ফিতরের জামাতের আয়োজন করে।