সিলেট : সিলেট সার্কিট হাউসে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে।
সংঘর্ষকালে সার্কিট হাউসে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দলটির ১৮ জন নেতা-কর্মীকেও আটক করা হয়। বুধবার রাত ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ে জেলা জাপার ইফতার মাহফিল ছিল। ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু।
ইফতারের আগে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও এহিয়া গ্রুপের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে জিয়াউদ্দিন বাবলুর হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ শান্ত হয়।
ইফতারের পর জিয়াউদ্দিন বাবলু নগরীর সুরমাপাড়স্থ সার্কিট হাউসে ওঠেছেন এমনটা ধারণা করে আবদুল্লাহ গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হন। রাত ৮টার দিকে এহিয়া তার অনুসারীদের নিয়ে সেখানে যাওয়ার পর উভয়পক্ষের মধ্যে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনা গেছে বলে জানা যায়। সার্কিট হাউসেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সেখান থেকে জাপার ১৮ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।
এ ব্যাপারে এহিয়া জানান, তার অনুসারী জেলা জাপা নেতা রফিকুল আলম লালুকে সার্কিট হাউসে আবদুল্লাহ সিদ্দিকীর অনুসারী জেলা জাপা নেতা বাছির আহমদ মারধর করেছেন এমন খবরে নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হয়। পরে তিনিও ঘটনাস্থলে যান।
সেখান থেকে ফেরার পথে আবদুল্লাহ সিদ্দিকীর অনুসারীরা সাধারণ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় কয়েক রাউন্ড গুলি হয়েছে, কিন্তু কে বা কারা গুলি করেছে তা তার জানা নেই।
এদিকে আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘ইয়াহইয়ার নেতৃতেই সন্ত্রাসীরা নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি চালায় এবং সার্কিট হাউসে ব্যাপক ভাঙচুর করে।’
সংঘর্ষের সময় জিয়াউদ্দিন বাবলুকে নিয়ে তিনি শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুহেল আহমদ জানান, সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় জাপার ১৮ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।