ছাত্রী হোস্টেলে বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদে ধর্মঘট করেছে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রোগীরা। গত কাল সকাল ৯টা থেকে ধর্মঘট শুরু করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে সিলেটের সবচেয়ে বড় এ সরকারি হাসপাতাল। শুধু জরুরি বিভাগে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। পরে দুপুর ১ টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ছাত্রীদের ইন্টার্নি হোস্টেলে বহিরাগতরা ঢুকে হামলার চেষ্টা করে। চিকিৎসকরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে ধর্মঘট করে চিকিৎসকরা। কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক জানান, ছাত্রী হোস্টেলে বহিরাগতদের এরকম হামলার চেষ্টা অতীতেও হয়েছে। বহিরাগতরা ঢুকে প্রায় সময় চুরি করে মূল্যবান মালামালও নিয়ে যায়। তাদের দাবি, বার বার হাসপাতালের উপ-পরিচালক আব্দুস সালামকে জানালেও তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
এদিকে বেলা ১টায় তারা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনদিনের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দুপুরের দিকে হাসপাতালের উপ পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুস সালামের ক্যাম্পাসে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা ও পুলিশ মোতায়েনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ক্যাম্পাসের ভেতরে ডা. মিলন ও আয়শা হোস্টেল রয়েছে। রাতের বেলায় ডিউটি শেষ করে হোস্টেলে ফেরার পথে মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হন। তারা জানান, ঘটনাটি একাধিকবার হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুস সালামকে অবহিত করলেও তিনি কোনো গুরুত্ব দেননি। বরং অভিযোগকারীদের উদ্দেশে বলেন, অপরাধ সংঘঠিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. রিমু বলেন, বহিরাগতরা ক্যা¤পাসে ঢুকে আয়শা হোস্টেলের সামনে আড্ডা দেয়। ডিউটি শেষে ছাত্রীরা ফেরার পথে উত্যক্তের শিকার হন। তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহিলা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনদিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ক্যা¤পাসে ছাত্রী হোস্টেলের সামনে পুলিশ মোতায়েন, অন্ধকার এলাকায় লাইট লাগানোসহ যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। অন্যথায় রোগীদের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তারা পুনরায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে যাবেন বলে জানান তিনি।