চাঞ্চল্যকর, বর্বর এ ঘটনাটি ঘটেছে দোয়ারাবাজার উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিনের কন্যা হামিদা বেগমের বাড়িতে। সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতিত হামিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার পায়নি। বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ধরনা দিতে হচ্ছে। একটি স্বাধীন দেশের মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েও আজ আমি ভূমিহীন। একমাত্র সহায় সম্বল ভিটেবাড়ি থেকে আমাকে ও আমার পরিবারকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়েছে। বার বার সন্ত্রাসী হামলাচালিয়ে আমার সম্ভ্রমহানীর চেষ্টা চালানো হয়েছে। আমার পরিবারকে ধ্বংস করতে মারিয়া হয়ে উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
এভাবেই সাংবাদিকদের কাছে কান্না জর্জরিত অবস্থায় অভিযোগ করে ভেঙে পরেন নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা কন্যা হামিদা বেগম। তিনি তার ভিটে বাড়ি পুনরুদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের সমুচিত শাস্তির জোর দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মামলার কাজের অগ্রগতি চলছে। খুব শীঘ্রই আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখযে, গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্টে২০১৫ খ্রি.) একই গ্রামের এখলাছ ফরাজী ও মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন মোহরীর মেয়ে হামিদা বেগমের সাথে ক্রয়কৃত ফার্নিচার নিয়ে ও বসতঘর দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ভাঙচুর ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। পরে খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় আহত হন, হামিদা আক্তার (৩০), বাবুল মিয়া (৩৫), বাদশা মিয়া(৪০), মতি মিয়া (৪৫), মাশুক মিয়া (১৯), গিয়াস উদ্দিন (৪০)।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর