সরেজমিনে যাওয়ার পর স্থানীয়রা জানান, গত বছরে বন্যায় ধসে যাওয়া রামডাকুয়া ব্রিজটি এক বছরেও পুনঃনির্মাণ না করায় জনদুর্ভোগে পড়েছেন ২০টি গ্রামের মানুষ। বর্তমানে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় পারাপাড়ের একমাত্র মাধ্যম নৌকা হওয়ায় স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীরা নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকতে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া উপজেলা সদর ও জেলা শহরসহ বিভাগীয় শহরে যেতে গিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষ জনদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সাবেক এমপি ডা. কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খান নিজ অর্থায়নে ২০০৯ সালে তিস্তার শাখা নদী রামডাকুয়ার উপর ব্রিজটি নির্মাণ করেন। নির্মাণের পর থেকে উপজেলার বেলকা, হরিপুর, তারাপুর ও পার্শ্ববর্তী উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, বজরাসহ ২০টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে থাকে।
এছাড়া প্রতিদিন ওইসব ইউনিয়নের খোর্দ্দার চর, চর খোর্দ্দা, বেকরির চর, পঞ্চানন্দ চর, শ্যামরায়ের পাঠ, বজরা চর, চর চরিতা বাড়ি, টাবুর চর, রামডাকুয়ার চর, পাড়া সাদুয়ার চর, মাদারি পাড়ার চর, রিয়াজ মিয়ার চর, রহমতের চর, মহিষবান্ধির চরসহ ২০টি চরাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীসহ ১০ হাজার লোকজন ওই পথে যাতায়াত করে থাকেন। সম্প্রতি অবিরাম বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় রামডাকুয়া ব্রিজেরর নিচ দিয়ে ১৫ হতে ২০ ফিট গভীরতায় তীব্র স্রোত নিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত বছর বন্যায় ব্রিজটি ধ্বসে গেলে পৌর প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন স্থানটি পরিদর্শন করলেও দীর্ঘ এক বছরেও ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের মত অর্থ পৌরসভায় নেই। উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মনছুর জানান, ব্রিজটির পুনঃনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের চাহিদা পত্র নির্বাহী প্রকৌশলীর নিকট পাঠানো হয়েছে।