সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে লাইসেন্স ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। হাট-বাজার গুলোতে রড,সিমেন্ট,ক্রোকারিজ,মটর সাইকেল ও টেলিভিশনের শোরুম,মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের দোকানে প্রকাশ্যেই এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিন হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায, ব্যবসায়িরা কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে সাজিয়ে রেখেছে। ব্যবসায়িদের গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির লাইসেন্সন তো দুরের কথা দোকানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র পর্যন্ত নাই। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের অন্তত শতাধিক দোকানে চলছে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির ব্যবসা। জানা যায়, সরকারি নিয়মনুয়ায়ী ৮ টির কম গ্যাস সিলিন্ডার থাকলে লাইসেন্স প্রয়োজন নাই। এমন আইনের সুযোগে ব্যবসায়িরা অবৈধ্যভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। লাইসেন্স ছাড়া ৮টি সিলিন্ডার মজুদ রাখলে নিরাপত্তার জন্য অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তুু কোন ভাবেই তা মানছেনা ব্যবসায়িরা। বিভিন্ন কোম্পানির ডিলাররা সাহস জুগিয়ে যাচ্ছে এই খুচরা ব্যবসায়িদের। তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ট্রাক,পিকআপভ্যানে করে ব্যবসায়িদের গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করছে। হাট-বাজারে যথাযথ কতৃপক্ষের তদারকির অভাবে নির্বিধায় চলছে এ ব্যবসা। ব্যবসায়িরা দোকানের সামনে কিছু সিলিন্ডার রেখে বাকীগুলো অন্যস্থানে সরবরাহ করে রাখছে। যার ফলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মোঃ এটিএম গোলাম মোস্তফা জানান,অগ্নি প্রতিরোধ ও অগ্নি নির্বাপন আইনের ২০০৩ এর ৪ ধারা মোতাবেক সরকার ঘোষিত ফায়ার সার্ভিসের কোন জ্বালানী নিয়ে কেউ ব্যবসা করলে তাকে মজুদ প্রক্রিয়াকরণ এ্যাক্ট অনুযায়ী লাইসেন্স নিতে হবে। তা না হলে ওই আইনের ১৭ ও ১৮ ধারা অনুযায়ী তিন বছরের কারাদন্ড ও দোকানের মালামাল বাজেয়াপ্ত হবে। এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোলেমান আলী জানান,অবৈধ্যভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রয়কারী দোকান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।